প্রতিবেদন: বাংলার জন্য বলতে যাওয়ায় রাজ্যসভায় মাইক বন্ধ করে দেওয়া হল তৃণমূল সাংসদ দোলা সেনের। মঙ্গলবার এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন দোলা এবং রাজ্যসভায় তৃণমূলের অন্য সাংসদরা। পরে দোলা সাংবাদিকদের জানান, আমার জন্য ৩ মিনিট সময় বরাদ্দ করা হয়েছিল। কিন্তু ঠিক দেড় মিনিট পরে বন্ধ করে দেওয়া হয় মাইক। আমি বক্তব্য রাখার সুযোগই পেলাম না। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যেভাবে নীতি আয়োগের বৈঠকে বলতে দেওয়া হয়নি, আমার ক্ষেত্রেও ঠিক একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল রাজ্যসভায়। বাংলার নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব নিয়ে এদিন রাজ্যসভায় কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছিলেন দোলা সেন। তাঁর কথায়, ২০১৬ সালে রাজ্য প্রস্তাব নেয়, পশ্চিমবঙ্গের নাম বদলে করা হবে বাংলা, হিন্দিতে বঙ্গাল এবং ইংরেজিতে বেঙ্গল। ২০১৭ সালে কেন্দ্রের প্রস্তাব ছিল ৩টি নাম নয়, পশ্চিমবঙ্গের নাম হোক শুধু বাংলা।
আরও পড়ুন-২১-এর পর বরাদ্দ পায়নি বাংলা, মানল কেন্দ্র
সেই অনুযায়ী ২০১৮ সালের ২৬ জুলাই রাজ্য প্রস্তাব গ্রহণ করে পশ্চিমবঙ্গ নাম বদলে হবে বাংলা। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, তারপরে দীর্ঘ ৬ বছর পার হয়ে গেলেও কেন্দ্রের তরফ থেকে কোনও সাড়াশব্দ নেই এ-ব্যাপারে। দোলার প্রশ্ন, সব জায়গার নাম বদলে মোদি সরকারের এত উৎসাহ, কিন্তু বাংলার নাম বদলে এত অনীহা কেন? এমন নিস্পৃহ কেন কেন্দ্র? ২১ থেকে ২৪- পরপর নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয় কি বিজেপিকে এতটাই প্রতিহিংসাপরায়ণ করে তুলেছে? তারা বুঝতে পারছে না এই নামের সঙ্গে বাংলার ১১ কোটি মানুষের ভালবাসা জড়িয়ে রয়েছে। সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে আলোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা নাম স্থির করেছেন। কিন্তু আমেদাবাদ স্টেডিয়ামের নাম বদল করতে ওদের সময় লাগে না, এলাহাবাদের নাম বদলে প্রয়াগরাজ করা হল নিমেষের মধ্যে, আর বাংলার বেলাতেই যত গাফিলতি? প্রশ্ন তুলেছেন দোলা। বাংলার প্রাপ্য টাকা নিয়েও সরব হয়েছিলেন দোলা সেন, কিন্তু সে সুযোগ দেওয়া হয়নি তাঁকে। বন্ধ করে দেওয়া হয় মাইক।