প্রতিবেদন : শাকসবজির ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধির হাত থেকে রাজ্যবাসীকে মুক্তি দিতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে নতুন ১০০টি ক্রয়কেন্দ্র খুলতে করতে চলেছে কৃষি বিপণন দফতর। এই ক্রয়কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি সবজি কিনে সুফল বাংলার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে বাজারদরের থেকে কম দামে বিক্রি করা হবে বলে রাজ্যের কৃষি বিপণনমন্ত্রী বেচারাম মান্না জানিয়েছেন। এগুলি চালানো হবে সেলফ হেল্প গ্রুপ বা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে। ফলে তারাও এক্ষেত্রে উপকৃত হবেন। ইতিমধ্যে এ ধরনের চল্লিশটি ক্রয়কেন্দ্র রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে রয়েছে। মন্ত্রী জানিয়েছেন, নতুন এই ১০০টি কেন্দ্রের কুড়িটি তৈরি হবে পূর্ব মেদিনীপুরে, চারটি হবে উত্তর ২৪ পরগনায়। এছাড়া, নদিয়া, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও কোচবিহারে এই ধরনের কেন্দ্র তৈরি হবে দুটি করে। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ, দার্জিলিং, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর ও হাওড়ায় এই ধরনের কেন্দ্র থাকবে একটি করে। মন্ত্রী আরও বলেন, এই ক্রয়কেন্দ্রগুলিতে এটা নিশ্চিত করা হবে, যাতে চাষিরা তাদের সবজির সঠিক মূল্য পায়। বহু ক্ষেত্রে দেখা যায় যখন বাজারে সবজির দাম চড়া তখনও সঠিক মূল্য পাচ্ছেন না চাষিরা। এখানে তেমনটা হবে না। কৃষকদের কাছ থেকে কেনা সবজি সরাসরি সুফল বাংলাতেই বিক্রি করা হবে, যা রাজ্যের সাধারণ মানুষ বাজারমূল্য থেকে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কম দামে কিনতে পারবেন।
আরও পড়ুন-শ্বেতপত্র প্রকাশে অভিষেকের দাবি, চাপে ঝাঁজ বাড়িয়ে চলেছে তৃণমূল
একইসঙ্গে মন্ত্রী জানান, বর্তমানে বাজারদর নিয়ন্ত্রণে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা সুফল বাংলাগুলিরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। রাজ্যে এই মুহূর্তে ৪৯৩ সুফল বাংলার স্থায়ী কেন্দ্র রয়েছে। এগুলি কলকাতা ও সংলগ্ন শহরতলি-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে। এছাড়া, ১১০টি অস্থায়ী ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রও রয়েছে রাজ্যে। পাশাপাশি, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এই ধরনের ১৮৬টি অস্থায়ী কেন্দ্র চালানো হচ্ছে।