প্রতিবেদন : সাংসদ প্যাডে স্লিপ ইস্যু করে পাচারে মদত দিতেন খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। এবার সেই স্লিপ-কাণ্ডে শান্তনুর বিরুদ্ধে তদন্তের দাবিতে সরব হল তৃণমূল। শান্তনুর বক্তব্যেই প্রমাণিত যে, তিনি স্লিপ ইস্যু করেন। একজন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হয়ে টাকার বিনিময়ে এই ধরনের স্লিপ ইস্যু করা আইনত অপরাধ। তাই যথাযথ তদন্ত করে উপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক। খারিজ করা হোক সাংসদ পদ, দাবিতে সোচ্চার হল তৃণমূল।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে পাচারে মদত দেওয়ার অভিযোগ ওঠার পর থেকেই নিন্দার ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি উঠেছে মতুয়া মহলেও। বাগদায় বিজেপির পরাজয়ের পর সেই দাবি আরও জোরালো হয়েছে। সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগর সংলগ্ন হাকিমপুর সীমান্তের ঘটনায় কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের নাম জড়ায়। অভিযোগ, স্বরূপনগরের বিথারি-হাকিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি নেতা নাজমুল সর্দার দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের নামে সীমান্ত এলাকায় এই চক্র চালাতেন। স্থানীয় চোরাকারবারিদের কাছ থেকে টাকার বিনিময়ে বিএসএফের উদ্দেশ্যে শান্তনু ঠাকুরের এমপি-প্যাডে লেখা ছাড়পত্র তুলে দেন তিনি। সীমান্তে বিএসএফের ৮৫ নম্বর ব্যাটেলিয়ান-এর উদ্দেশ্যে লেখা তিন কেজি গোমাংস নিয়ে যাওয়ার ছাড়পত্র সামনে আসতেই উত্তেজনা ছড়ায়। মাংস ব্যবসায়ী জিয়ারুল গাজি জানান, দীর্ঘদিন ধরেই ওই বিজেপি নেতা নাজমুল সর্দার সীমান্ত এলাকার মানুষের কাছ থেকে প্রতিটা স্লিপের বিনিময়ে ২০০ করে টাকা নেন। প্রতিদিনই পাঁচ থেকে ছটা স্লিপ ছাড়েন এমপির নামে। এর ফলে বিজেপিই যে সীমান্ত পাচারের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত এবং সেই পাচার চলছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মদতে তা প্রকট হয়ে পড়ে। গরুপাচার, মাংসপাচার, মানবপাচার সব বেআইনি কাজে জড়িয়ে বিজেপির নাম। এরপর কেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না? তাঁর সাংসদ বা মন্ত্রী থাকার কোনও অধিকার নেই। অবিলম্বে তাঁর পদত্যাগের দাবি তুলে সোচ্চার হয় তৃণমূল। কেন্দ্রীয়ভাবে কোনও ব্যবস্থা না হলে তারা আরও বড়সড় আন্দোলনের পথে হাঁটবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। তৃণমূল চাইছে, বিভাগীয় তদন্ত করা হোক এবং দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক। দাবি তোলা হয়, অপসারণ চাই কেন্দ্রীয়মন্ত্রী তথা সাংসদ শান্তনুর।