যুক্তরাষ্ট্রীয় নীতির স্বার্থেই তৃণমূলের সমর্থনে ১৫টি বিরোধীদল

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নিয়ে রাজ্যসভায় আলোচনা দাবি করলেন তৃণমূলের দলনেতা সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় এই দাবি তোলেন তিনি।

Must read

প্রতিবেদন: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নিয়ে রাজ্যসভায় আলোচনা দাবি করলেন তৃণমূলের দলনেতা সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় এই দাবি তোলেন তিনি। এই নিয়ে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে চিঠিও দিয়েছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, রাজ্যসভার কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে প্রতিটি দলকেই আলোচনার বিষয়বস্তু হিসাবে তাদের পছন্দের ৩টি মন্ত্রকের নাম চাওয়া হয়েছিল। তৃণমূলের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছিল, আমাদের আলোচনায় অগ্রাধিকার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকেই। এই মন্ত্রকের কাজকর্ম নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা চাই আমরা। ডেরেক জানিয়েছেন, সবমিলিয়ে মোট ১৫টি বিরোধী দলই চায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক নিয়ে আলোচনা। তাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক নিয়ে আলোচনা রাজ্যসভাতেও জরুরি। সেখানেই চাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। কংগ্রেস, ডিএমকে, বিজু জনতা দল, আম আদমি পার্টি এবং সিপিএমের মতো বিরোধী দলগুলোও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক নিয়ে আলোচনা চায়। তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা মনে করিয়ে দেন, যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের। বিভিন্ন রাজ্যে শক্তিশালী ভিত্তি আছে, এমন দলগুলোর প্রতিনিধিরা রয়েছেন রাজ্যসভায়। সেই কারণেই এখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক নিয়ে আলোচনাতেই একমাত্র অগ্রাধিকার তৃণমূলের।

আরও পড়ুন-এটাই এখন বিজেপির যোগীরাজ্যের চিত্র, জলপ্লাবনের মাঝে লখনউয়ে মহিলাদের সঙ্গে ন্যক্কারজনক ঘটনা

রাজ্যসভায় তৃণমূলের ডেপুটি লিডার সাংসদ সাগরিকা ঘোষও এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক নিয়ে আলোচনার পক্ষে সওয়াল করেছেন। তাঁর মতে, দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর স্বার্থেই রাজ্যসভায় এই আলোচনা জরুরি।
লক্ষণীয়, দেশের বহু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যেমন রাজধানী দিল্লিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে অমিত শাহর পুলিশ থাকলেও গুরুতর অবনতি ঘটছে সেখানকার পরিস্থিতির। ন্যায়সংহিতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে একের পর এক। দেখা দিচ্ছে বিতর্ক, সংশয়। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ভূমিকাও সাধারণ মানুষের অসন্তোষের কারণ হয়ে উঠছে বিভিন্ন এলাকায়। বিভিন্ন ক্ষেত্রেই এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে নাক গলানোর অভিযোগ উঠছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাজকর্মে স্বচ্ছতার অভাব বলে অভিযোগ উঠছে বারবার। এই কারণেই এই মন্ত্রককে নিয়ে রাজ্যসভায় আলোচনা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন তৃণমূল-সহ বিরোধী নেতৃত্ব।

Latest article