লাল-হলুদ রংই শক্তি, সম্মানিত হয়ে সৌরভ

চিরকালের টিমম্যান সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর হাত ধরেই টিম ইন্ডিয়ার স্বপ্নের যাত্রা শুরু। সেই সৌরভকেই এবার ‘ভারত গৌরব’ সম্মানে ভূষিত করল ইস্টবেঙ্গল ক্লাব।

Must read

প্রতিবেদন: চিরকালের টিমম্যান সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর হাত ধরেই টিম ইন্ডিয়ার স্বপ্নের যাত্রা শুরু। সেই সৌরভকেই এবার ‘ভারত গৌরব’ সম্মানে ভূষিত করল ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। লাল-হলুদের পুরস্কারমঞ্চে উঠে আরও একবার আদর্শ টিমম্যানের ভূমিকা পালন করলেন বাংলার মহারাজ। নাম ধরে একে একে মঞ্চে ডেকে নিলেন প্রাক্তন ফুটবলারদের। সৌরভ বললেন, ‘‘আমি সবাইকে মঞ্চে আসতে বললাম কারণ, সাফল্য পেতে হলে দলের সতীর্থদের পাশে দরকার। মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, শ্যাম থাপা, প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, এঁরা সবাই এক-একজন ইনস্টিটিউশন।’’
‘‘ইস্টবেঙ্গলের জার্সির রংয়ের মধ্যে একটা শক্তি আছে। লাল-হলুদ রং উজ্জ্বল, দৃষ্টি আকর্ষণ করে।’’ কথাগুলো যখন বলছিলেন সৌরভ তখন ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে উপস্থিত থাকা দর্শকদের করতালিতে কান পাতা দায়।
ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও সৌরভের প্রথম রঞ্জি অধিনায়ক সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায় ভারতীয় ক্রিকেটে সর্বকালের অন্যতম সফল অধিনায়কের হাতে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফে ‘ভারত গৌরব’ সম্মান তুলে দেন। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুজিত বসু, মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার, ‘বাংলার গৌরব’ সম্মান পাওয়া ক্রিকেটার মহম্মদ শামি, অভিনেতা প্রসেনজিৎ, ক্লাব কর্তা, প্রাক্তন ফুটবলাররা-সহ বিশিষ্টজনেরা। ‘দ্য মেকার অফ এ চ্যাম্পিয়ন’ সম্মানে ভূষিত হন সানিয়া মির্জার বাবা ইমরান মির্জা। তিনিও ছিলেন সৌরভের মঞ্চে। ছিলেন সেরা সাংবাদিকের সম্মান পাওয়া রাজদীপ সারদেশাইও।
সৌরভ বললেন,‘‘আমি কলকাতার ফুটবলকে মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল, মহামেডানের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখি না। মাঠের বাইরেও তিন প্রধানের একটা দায়িত্ব আছে। তাদেরও দায়িত্বশীল হতে হবে।’’ সেরা সমর্থক হিসেবে ইস্টবেঙ্গল এদিন মুকুল গঙ্গোপাধ্যায় ও গণেশ দাসকে সম্মান জানায়।

Latest article