কলম্বো, ১ অগাস্ট : প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামের উইকেটে ব্যাটাররা সুবিধা পায় প্রথমদিকে। কিন্তু বল যত পুরোনো হয়, উইকেট তত স্লো হয়ে আসে। ট্রপিক্যাল পরিবেশ ও শক্ত সারফেসের জন্য এমন হয়। শুক্রবার প্রথম একদিনের ম্যাচে ভারত আর শ্রীলঙ্কা, দুটো দলই তাই আগে বল করতে চাইবে। যাতে স্লো উইকেটে পরে বল করতে না হয়।
১৯৮৬-র এপ্রিলে প্রথম একদিনের ম্যাচ হয়েছিল প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে। এখানে ১৫০টি ম্যাচের মধ্যে আগে ব্যাট করা দল জিতেছে ৮০টি ম্যাচ। পরে ব্যাট করে জিতেছে ৫৯টি ম্যাচ। পরিসংখ্যান দেখলে মনে হতে পরে আগে ব্যাট করে নেওয়াই ভাল। কিন্তু পরিস্থিতি তা বলছে না। ২০১৭-তে এই মাঠে ভারত ৩৭৫/৫ তুলে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছিল। আবার এই মাঠেই ২০২৩-এ শ্রীলঙ্কা ভারতের বিরুদ্ধে ৫০ রানে গুটিয়ে যায়। শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা অবশ্য মাথা থেকে এসব পরিসংখ্যান ঝেড়ে ফেলতে চাইবেন। বিশেষ করে টি-২০ সিরিজে ৩-০ হারের পর।
আরও পড়ুন- যুক্তরাষ্ট্রীয় নীতির স্বার্থেই তৃণমূলের সমর্থনে ১৫টি বিরোধীদল
রোহিত, বিরাট, রাহুল এসে পড়ায় পুরো শক্তির ভারতীয় দল মনে হচ্ছে দেখে। একমাত্র বুমরা নেই। তাঁকে বাংলাদেশ সিরিজের জন্য রেখে দেওয়া হয়েছে। এখন প্রশ্ন হল, কেমন দল নিয়ে নামবেন রোহিত। সবথেকে বড় প্রশ্ন, ঋষভ পন্থ প্রথম এগারোয় থাকবেন কিনা। টি-২০ সিরিজে ঋষভ সেরা ছন্দে ছিলেন না। ফলে তাঁকে গ্লাভস তুলে দিতে হতে পারে কে এল রাহুলের হাতে। কোচ গৌতম গম্ভীর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দিকে চোখ রেখে এগোতে চাইছেন। সেই কারণে অনিচ্ছুক রোহিত, বিরাটকে এই সিরিজে তুলে এনেছেন। এই পরিস্থিতিতে ঋষভ না রাহুল, এই প্রশ্ন খুব গুরুত্বপূর্ণ চেহারা নিয়েছে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে ভারত যে ছটি একদিনের ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে, তার মধ্যে তিনটি হল এই সিরিজ। গম্ভীর তাই এখন থেকেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (Champions Trophy) হোমওয়ার্ক সেরে নিতে চাইবেন। শ্রেয়স আইয়ার ও রাহুলকে সেই জন্যই একদিনের সিরিজে রাখা হয়েছে। এখানে উইকেট পরের দিকে স্পিনারদের সাহায্য করবে। অক্ষর ও কুলদীপ যাদব থাকছেনই। এমনকী রিয়ান পরাগও হয়তো অলরাউন্ডার হিসাবে প্রথম এগারোয় চলে আসবেন। রিয়ান জিম্বাবোয়ে সিরিজে অফস্পিন বল করে সাত উইকেট নিয়েছিলেন। এদের সঙ্গে থাকবেন আরেক অলরাউন্ডার ওয়াশিংটন সুন্দর।
আর একজনের নাম আলোচনায় রয়েছে। হর্ষিত রানা। আইপিএলে যাকে কেকেআরের হয়ে খেলতে দেখা গিয়েছিল। তিনি আর রিয়ান প্রথম এগারোয় থাকলে বসতে হবে শিবম দুবে ও মহম্মদ সিরাজকে। গম্ভীর সামনের দিকে তাকালে সেই ঝুঁকি নিতে পারেন। শ্রীলঙ্কার জন্য একটাই কাজ টি-২০ সিরিজে হারের ক্ষতে প্রলেপ বোলানো। তাহলে তাদের একদিনের সিরিজ জিততে হবে। কাজটা কঠিন। বিশেষ করে রোহিত, বিরাট এসে যাওয়ার পর। কঠিন এই বাস্তব সিংহলিরাও খুব ভাল করে জানে!