প্রতিবেদন : প্রকৃতির তাণ্ডবে বিধ্বস্ত কেরলের ওয়েনাড়ে। সেখানে আটকে পড়া বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের নিরাপদে ঘরে ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে মুখ্যসচিব বি পি গোপালিকা প্রতিনিয়ত কেরল প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। অভিবাসী শ্রমিকদের প্রয়োজনীয় সমস্ত সহায়তা দিতে ইতিমধ্যেই ওয়েনাড়ে হাজির হয়ে গিয়েছে তৃণমূলের দুই সাংসদ সুস্মিতা দেব ও সাকেত গোখেল। এদিনই ধস-বিধ্বস্ত ওয়েনাড়ে পরিদর্শন করে তাঁরা বার্তা দিয়েছেন, দুর্যোগে বিধ্বস্ত বাংলার প্রত্যেক বাসিন্দাকে আগলে রাখছে মা-মাটি-মানুষের সরকার। কেরলে আটকে পড়া বাংলার শ্রমিকদের পাশেও রয়েছে। দিদি আছেন সকলের সঙ্গে সকলের পাশে। আমরা মানুষের পাশে দাঁড়াতে এখানে এসেছি। গোটা বাংলাই তাঁদের পাশে রয়েছে।
আরও পড়ুন-এখনও অস্থায়ী উপাচার্যরা আসছেন কেন : শিক্ষামন্ত্রী
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে কেরলের ওয়েনাড়ে পৌঁছে এক্স হ্যান্ডেলে সাংসদ সাকেত গোখেল ও সুস্মিতা দেব সেই বার্তা দিয়েছেন। তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন। হাসপাতালে যান পরিদর্শনে। তারপর তাঁরা ওয়েনাড়ের একাধিক রিলিফ ক্যাম্পে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেন। পাশাপাশি বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারেও জেলাশাসক ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করেছেন। তাঁরা আশ্বাস দিয়েছেন, ভয়ের কোনও কারণ নেই। পরিযায়ী শ্রমিকদের নিরাপদেই রাজ্যে ফেরানো হবে। এই কঠিন পরিস্থিতিতে ওয়েনাড়ের আরও শক্তিশালী হওয়া প্রয়োজন। শনিবার আমরা জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলেছি। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাও পরিদর্শন করে মানুষের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছি। রবিবারও তাঁরা বিভিন্ন শিবিরে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলবেন। বাংলার শ্রমিকদের খোঁজখবর নেবেন। তাঁদের নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করবেন। ইতিমধ্যে ওয়েনাড়ে মৃতের সংখ্যা ৩৫০ ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। জোরকদমে চলছে উদ্ধারকাজ। দুর্যোগের জেরে কত মানুষ ঘরছাড়া, তার সঠিক হিসাব এখনও অমিল। ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে রীতিমতো বিপাকে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকেরাও। রাজ্যের ২৪২ জন পরিযায়ী শ্রমিক আটকে পড়েছেন। ইতিমধ্যেই ১৫৫ জনের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে।