সংবাদদাতা, ঘাটাল : নিম্নচাপের টানা বৃষ্টির জেরে শিলাবতী নদীর জলস্তর অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে ঘাটাল পুরসভার নিচু ওয়ার্ডগুলিতে জল ঢুকতে শুরু করেছে। ডুবেছে রাস্তাঘাট। ফের বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কায় ঘাটালবাসী। এই অবস্থায় তড়িঘড়ি ঘাটালে গিয়ে বন্যা-পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে মহকুমা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক। শিলাবতী নদীর জলস্তর এখনও বিপদসীমার নিচে রয়েছে। পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রেখেছে প্রশাসন। যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলায় মহকুমা প্রশাসনের সঙ্গে জেলা প্রশাসনও প্রস্তুত, এমনই জানান পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি। রবিবার দুপুরে ঘাটাল মহকুমাশাসক কার্যালয়ে সমস্ত প্রশাসনিক আধিকারিককে নিয়ে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেন জেলাশাসক। এর পাশাপাশি মহকুমাশাসক-সহ আধিকারিকদের নিয়ে মনসুকা এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। এখনও পর্যন্ত ডিভিসি যে পরিমাণ জল ছেড়েছে তার প্রভাব ঘাটালের শিলাবতী নদীতে পড়বে না। পরোক্ষভাবে ঘাটালের ঝুমি নদীতে তার প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান জেলাশাসক।
আরও পড়ুন-ম্যানমেড বন্যা, উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী ফোন করলেন হেমন্ত সোরেনকে
জেলা থেকে একটি টিম মনসুকার জন্য পাঠানোর কথা জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি ত্রাণশিবির থেকে মেডিক্যাল-সংক্রান্ত সমস্ত ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। স্থানীয় বিডিও থেকে মহকুমা প্রশাসনের কিছু নম্বর সাধারণ মানুষকে দেওয়া হচ্ছে। তাঁরা কোনও সমস্যায় পড়লে ওই নম্বরে ফোন করে জানাতে পারবেন। প্রতি বছর বন্যায় ঘাটালে সাপের উপদ্রব বাড়ে। তার জন্য সাধারণ মানুষকে সতর্ক করা হয়েছে। এককথায় বন্যা মোকাবিলায় প্রশাসন ও আধিকারিকরা সক্রিয় রয়েছেন। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীও ঘাটালের খোঁজ-খবর রাখছেন বলেও জানান জেলাশাসক।