প্রতিবেদন : কারামন্ত্রী অখিল গিরিকে পদত্যাগের নির্দেশ দিল দল। তাঁর অভব্য আচরণের জন্য ব্যাপক ক্ষুব্ধ তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক দুজনের কেউই অখিলের এই বেয়াড়া আচরণ বরদাস্ত করেননি। তাঁকে বন দফতরের ওই মহিলার রেঞ্জ অফিসারের কাছে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে। রবিবার দুপুরে তৃণমূল রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি মুখ্যমন্ত্রী তথা নেত্রীর নির্দেশ ফোনে জানিয়ে দেন অখিলকে। অবিলম্বে পদত্যাগ করতে বলেন।
আরও পড়ুন-মন্ত্রী মানসের হাত ধরে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে
এই খবর জানিয়ে প্রাক্তন সাংসদ ডাঃ শান্তনু সেন স্পষ্ট জানিয়েছেন, অখিল গিরি যে আচরণ করেছেন মহিলা রেঞ্জ অফিসারের সঙ্গে দল কোনও অবস্থাতেই তা মেনে নেয়নি এবং নেবেও না। তাই অখিল গিরিকে পদত্যাগ করতে নির্দেশ দিয়েছেন সুব্রত বক্সি। এর আগেও রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে বেফাঁস মন্তব্য করে বসেছিলেন অখিল। তখনও তাঁকে সতর্ক করা হয়েছিল। ক্ষমা চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। এবার মহিলা রেঞ্জ অফিসার সরকারি নির্দেশ পালন করতে গিয়ে যেভাবে অখিলের রোষের মুখে পড়েন এবং তাঁর প্রতি যে ধরনের ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে ও আচরণ করা হয়েছে তাতে ব্যাপক ক্ষুব্ধ নেত্রী এবং অভিষেক। একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকেই নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, দলের কোনও মন্ত্রী, বিধায়ক, জনপ্রতিনিধি, সাংগঠনিক পদাধিকারী কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে দল উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে, কাউকে রেয়াত করা হবে না। এবার অখিল গিরির ঘটনার মধ্যে দিয়ে সে-কথা প্রমাণ করে দিলেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। একুশের মঞ্চ থেকে বলা কথাগুলো যে শুধুই কথার কথা ছিল না তা প্রমাণ হয়ে গেল। অদূর ভবিষ্যতেও এই ধরনের দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ নিতে দল যে দুবার ভাববে না বুঝিয়ে দিলেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অখিল জানিয়েছেন, রবিবার রাতেই ইমেল মারফত পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেবেন এবং আগামী কাল সোমবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে পদত্যাগের চিঠি দেবেন।