কলম্বো, ৪ অগাস্ট : টি-২০ বিশ্বকাপ জয়ের পর কয়েক সপ্তাহ কেটেছে। সংবর্ধনার পালা শেষ হতেই খারাপ সময় ঘিরে ধরেছে ভারতীয় ক্রিকেটকে। শ্রীলঙ্কায় দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে রোহিতরা হারলেন ৩২ রানে। জেফ্রি ভ্যান্ডারসে ৩৩ রানে ৬ উইকেট নিয়ে ভারতকে থামিয়ে দেন ২০৮ রানে। টার্গেট ছিল ২৪১। জিম্বাবোয়েতে শুভমনরা
টি-২০ সিরিজ জিতলেও প্রথম ম্যাচে হেরেছিলেন। এখানে প্রথম একদিনের ম্যাচে কোনওক্রমে টাই করেছেন রোহিতরা। দ্বিতীয় ম্যাচে হেরেই গেলেন!
আরও পড়ুন-অসহযোগের নামে হাসিনার পদত্যাগ চেয়ে উত্তাল বাংলাদেশ
হতে পারে টি-২০ বিশ্বকাপ। কিন্তু একদিনের দলে রোহিত, বিরাটের মতো কাপজয়ী মহাতারকারা আছেন। রোহিত দুই ম্যাচে রান করলেও বিরাট ব্যর্থ। এটা কোচ গম্ভীরের প্রথম ওয়ান ডে সিরিজ। বুধবার জিতে বড়জোর সিরিজ ১-১ করে ফিরতে পারেন। একদিনের সিরিজ জেতার কোনও সুযোগ থাকল না। দল ও ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে বেশি পরীক্ষা হচ্ছে বলে অভিযোগ। পন্থের মতো ম্যাচ উইনার কেন বাইরে, সেই প্রশ্নও কিন্তু হারের পর উঠছে।
গম্ভীরের জন্য টি-২০ সিরিজ ভাল কাটলেও একদিনের সিরিজে সমস্যা রয়েছে। সবথেকে বড় সমস্যা মিডল অর্ডার নিয়ে। রবিবারও যা বিপদে ফেলেছে ভারতকে। এক সময় ছিল বিনা উইকেটে ৯৭। সেখান থেকে ১০ ওভারে ১৪৭/৬। ৫০ রানের মধ্যে আধ ডজন উইকেট হারিয়েছে রোহিতের দল। যা শুরু হয়েছিল হিটম্যানের অতি অ্যাডভেঞ্চারে। দিব্যি খেলছেন। এগোচ্ছে দল। তখন ওই রিভার্স সুইপ মারতে যাওয়ার দরকার ছিল না।
রোহিত যখন ব্যাট করছিলেন, মনে হচ্ছিল জয় দরজায় অপেক্ষা করছে। কিন্তু তিনি ৬৪ করে ফিরে যেতেই ধস নামল! শুভমন (৩৫) আরও একবার তিরিশের ঘরে আউট হলেন। তারপর স্কোরকার্ড এই, বিরাট ১৪, দুবে ০, শ্রেয়স ৭ ও রাহুল ০। শ্রীলঙ্কার ২৪০ রান তাড়া করতে নেমে ভাল শুরুর দরকার ছিল। সেটা হয়েছে। কিন্তু তারপর কেউ মোমেন্টাম ধরে রাখতে পারেননি।
আরও পড়ুন-পঞ্চায়েত ভোট, বিজেপির নোংরা খেলা, অভিষেকের দ্বারস্থ সুস্মিতা
হাসরাঙ্গা সিরিজ থেকে ছিটকে যাওয়ায় চাপ ছিল শ্রীলঙ্কার উপর। তখন কে জানত যে, ভ্যান্ডারসে বলে কেউ দায়িত্ব তুলে নেবেন। হাতে বড় স্পিন নেই। কিন্তু নিশানায় অভ্রান্ত। নিখুঁত লেংথে বল ফেলে গেলেন। তাতেই পরপর উইকেট। শেষদিকে অক্ষর ৪৪ রান করে গেলেন। ওয়াশিংটন সুন্দর ১৫ রান করে কিছুটা সঙ্গ দিলেন। কিন্তু রোহিতদের হার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল।
শেষ দশ ওভারে ৭৯ করেছে শ্রীলঙ্কা। সেটা হল কামিন্ডু মেন্ডিস (৪০) ও আকিলা ধনঞ্জয়ের (১৫) জন্য। তার আগে মেন্ডিস আর ওয়েলালাগের (৩৯) জুটিতে ৭২ রান এসেছিল। এটা ছাড়া আর একটা পার্টনারশিপ হয়েছে শ্রীলঙ্কার ইনিংসে। দ্বিতীয় উইকেটে ৭৩ রান আবিষ্কা ফার্নান্ডো (৪০) ও কুশল মেন্ডিসের (৩০)। এই দুই পার্টনারশিপে সিংহলি ইনিংস ২৪০/৯ পর্যন্ত গিয়েছিল।
আরও পড়ুন-লন্ডভন্ড ওয়েনাড়, পশুদের প্রাণ বাঁচাতে বিশেষ কন্ট্রোল রুম
বেশ নাটকীয় শুরু হয়েছিল শ্রীলঙ্কার ইনিংসের। প্রথম বলেই সিরাজ ফেরান নিশঙ্কাকে (০)। প্রেমাদাসার উইকেটে শুরুতে একটা ঝটকা থাকে। সিরাজ যার সুবিধা পেয়েছেন। কিন্তু শ্রীলঙ্কাকে এরপরও চাপে ফেলা যায়নি ফার্নান্ডো ও মেন্ডিসের জন্য। সিরাজ অবশ্য আর উইকেট পাননি। দুটি উইকেট নেন কুলদীপ। তবে ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সবথেকে বেশি উইকেট ওয়াশিংটনের। তিনি ৩০ রানে ৩ উইকেট নেন।
শ্রীলঙ্কার মিডল অর্ডার রবিবারও ব্যর্থ হয়েছে। সমরবিক্রমা ১৪, আসালাঙ্কা ২৫, লিয়ানাগে ১২ রানে আউট হয়েছেন। একসময় ৭৪/১ ছিল শ্রীলঙ্কা। সেখান থেকে উইকেট হারিয়ে তাদের রান দাঁড়িয়েছিল ১৩৬/৬। ৬২ রানে ৫ উইকেট পড়ে গিয়েছিল। মাঝখানে এই ধাক্কা ওয়াশিংটনের। শ্রীলঙ্কা অবশ্য চাপ কাটিয়ে উঠেছিল।