প্রতিবেদন : নামেই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা। আসলে ব্যয়ের সিংহভাগই বহন করছে রাজ্য। তবুও কৃতিত্ব নিতে নিজেদের জাহির করে চলেছে কেন্দ্র। নিজেদের জাহির করছে গেরুয়া শিবির। মঙ্গলবার এই সত্যটাই উঠে এল লোকসভায়। আসল তথ্যটা ধরা পড়ে গেল কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর রিপোর্টেই।
কী সেই তথ্য? প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা-গ্রামীণ প্রকল্পের অধীনে গত ৩ বছরে অর্থাৎ ২০২১-২২ থেকে ২০২৩-২৪ পর্যন্ত একক নোডাল অ্যাকাউন্ট থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ৬,৬১২.০৮ কোটি টাকা খরচ করেছে। আর এই ৩ বছরে এই প্রকল্পে কেন্দ্রের অংশ বাবদ বাংলাকে দেওয়া হয়েছে ৬৮৭ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা। রাজ্য সরকার এই প্রকল্পে উপকৃতদের জন্য মোট ১২,৭৩,৬১৪টি বাড়ি মঞ্জুর করেছে। মঙ্গলবার লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মালা রায়ের এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে একথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রশেখর পেমমাসানি।
আরও পড়ুন-আগামীর পদক্ষেপ, বৈঠকে ইন্ডিয়া জোট
তিনি জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা-গ্রামীণ প্রকল্পের অধীনে কেন্দ্রের অংশের টাকা সরাসরি দেওয়া হয় রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে। সুবিধাভোগীদের এই তহবিলের টাকা প্রকল্পের একক নোডাল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি রিলিজ করে।
কিন্তু আবাস যোজনার বাস্তবায়নে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা যে আসলে পালন করেছে বাংলাই এবং এই বিষয়ে কেন্দ্রের তৎপরতা যে একেবারের শূন্য, সেই কথাটা কিন্তু একবারও স্বীকার করলেন না প্রতিমন্ত্রী। বাংলার প্রাপ্য টাকা কোন যুক্তিতে কেন্দ্র আটকে রাখছে তারও কোনও সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা দিতে পারেননি তিনি। এককথায়, রাজ্যের কৃতিত্ব নিজেরা দাবি করতে গিয়ে ধরা পড়ে গেল কেন্দ্র।
আসলে দীর্ঘদিন ধরেই বাংলার কৃতিত্বে ভাগ বসাতে অপপ্রচারের পথ ধরেছেন নরেন্দ্র মোদি। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে ছড়াচ্ছেন বিভ্রান্তিকর তথ্য। সংসদেও একই কৌশল নিয়ে চলেছে কেন্দ্র। এদিন সেই বিষয়টাই বেআব্রু হয়ে গেল লোকসভায়।