প্রতিবেদন: শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পরই জেলমুক্ত বেগম খালেদা জিয়া (Khaleda Zia)। একদিকে যখন আওয়ামি লিগ উৎখাত হওয়ার পর নির্বিচারে আক্রমণের শিকার হচ্ছেন ওই দলের নেতা-কর্মীরা, তখন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে রাজনীতির রাশ অনেকটাই বিএনপির হাতে।
ঢাকার নয়া পল্টনে বিশাল সভা করেছে বিএনপি। সভামঞ্চ থেকে বিএনপি নেতৃত্ব বলেছেন, দেশের এই ডামাডোলের সময় কোনওভাবেই যেন সংখ্যালঘুদের উপরে নির্যাতন না হয়। তাদের ধর্মস্থানে যেন হাত পড়ে। বহু বছর পর পাসপোর্ট হাতে পেয়েছেন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে তিনি এখন হাসপাতালে। চিকিৎসার জন্য তাঁকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় করছে বিএনপি নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন-বর্ষায় ডুয়ার্সে ভিলেজ ট্যুরিজম
নেত্রী খালেদা জিয়ার (Khaleda Zia) সঙ্গে দেখা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সাক্ষাতের পর ফখরুল ইসলাম বলেন, বহুদিন পর মুক্ত বেগম খালেদা জিয়াকে দেখলাম। তিনি মানসিকভাবে ভাল আছেন, শারীরিকভাবে কিছুটা ক্লান্ত। পুরো বিষয় পর্যবেক্ষণ করেছেন। সাম্প্রতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত। ফখরুল বলেন, পড়ুয়াদের আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটেছে। এর জন্য বেগম খালেদা জিয়া শিক্ষার্থীদের ও দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। পাশাপাশি সবাইকে তিনি শান্ত থাকতে বলেছেন, ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন। সরকার এতদিন ধরে নির্যাতন-নিপীড়ন করলেও প্রতিশোধের মানসিকতা রাখা যাবে না। সবাই মিলে এই দেশ গড়ে তুলতে হবে। গোলমালের সুযোগ নিয়ে দেশের বেশকিছু অংশে সংখ্যালঘুদের উপরে হামলা হচ্ছে। এনিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে চেয়ারপার্সন খালেদা বলেছেন, সংখ্যালঘুদের উপর হামলা বা নির্যাতনের কোনও ঘটনায় বিএনপি-যুবদল-ছাত্রদল কোনওভাবেই যুক্ত হবে না। যুবদল-ছাত্রদলকে দেশের প্রতিটি এলাকায় মন্দির-উপাসনালয় দেখে রাখার দায়িত্ব পালন করতে হবে। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তাহীনতা দূর করতে বিএনপি-যুবদল-ছাত্রদল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে— এটাই দলের সিদ্ধান্ত।