বুধবার গভীর রাতে আবার মেঘভাঙা বৃষ্টির কবলে হিমাচল (Himachal Pradesh)। সূত্রের খবর, হিমাচল প্রদেশের শ্রীখণ্ডের কাছে সামেজ এবং বাগী সেতুর মাঝামাঝি এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ১৩ জনের দেহ উদ্ধার করেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল (এনডিআরএফ)। নিখোঁজ এক। গত ৩১ জুলাই মেঘভাঙা বৃষ্টির ফলে বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয় সামেজ। সেই সময় সেখানে কমপক্ষে ৩৩ জন নিখোঁজ ছিলেন। এরপরেই ফের একবার বুধবার রাতে মারা গেলেন ১৩ জন।
আরও পড়ুন-বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রয়াণে আজ পূর্ণদিবস সরকারি ছুটি ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
৭ আগস্ট ভারী বৃষ্টি হয় হিমাচলে। মান্ডি জেলার জোগিন্দরনগরে ২৪ ঘণ্টায় সর্বাধিক ১১০ মিমি বৃষ্টি হয়েছে। শুধু তাই নয়, ভারী বৃষ্টি হয়েছে সিরমাউর জেলাতেও। আবহাওয়া দফতর তরফে খবর, এই মুহূর্তে বৃষ্টি থামার কোন পূর্বাভাস নেই। আগামী কয়েক দিন রাজ্যের বিলাসপুর, হামিরপুর, কাংড়া, চাম্বা এবং মান্ডি জেলায় ইতিমধ্যেই জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা। এনডিআরএফের কম্যান্ড্যান্ট বলজিন্দর সিংহ জানিয়েছেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল হিমাচলের বেশ কয়েকটি দুর্গম এলাকায় উদ্ধারকাজ অভিযানের জন্য আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল। সামেজে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে এমন বিপর্যয়ে এই মুহূর্তে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধারকাজ। আজ সকাল পর্যন্ত ১৩টি মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
আরও পড়ুন-প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য
উল্লেখ্য, বার বার মেঘভাঙা বৃষ্টির ফলে ধস নেমেছে বেশ কয়েকটি এলাকায়। বহু ঘরবাড়ি, স্কুল, হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এর ফলে। বহু মানুষ নিখোঁজ হওয়ার সাথে মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে প্রতিনিয়ত। জানা গিয়েছে, ২৭ জুন থেকে ৩ অগস্ট পর্যন্ত শুধুমাত্র বৃষ্টির ফলেই প্রাণ গিয়েছে ৭৯ জনের। অন্যদিকে আবার ৩১ জুলাই রাতের হড়পা বানে কুলুর নির্মান্দ, মান্ডির পাধার, মালানা, শিমলার রামপুরে কমপক্ষে আট জনের মৃত্যু হয়েছে।