কানে এখনও ভেসে আসছে স্বপ্নপূরণের আগেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়া সেই ছাত্রছাত্রীদের আর্তনাত। দিল্লির (Delhi) রাজেন্দ্রনগরের তিন আইএএস পড়ুয়ার মৃত্যুতে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্ত হওয়ার পর বুধবার সেই তদন্তের রিপোর্ট রাজস্ব দফতরে জমা পড়ে। সেই তদন্ত রিপোর্টে স্পষ্ট দিল্লি পুরসভার আবাসন দফতরের আধিকারিকদের অনেকাংশেই গাফিলতি রয়েছে। শুধু তাই নয়, কোচিং সেন্টারের মালিক, তাঁদের ব্যবস্থাপনাতেও গাফিলতি রয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ২৭ জুলাই রাজেন্দ্রনগরের কোচিং সেন্টারের বেসমেন্টে বৃষ্টির জল ঢুকে মৃত্যু হয় শ্রেয়া যাদব (২৫), তানিয়া সোনি (২৫) এবং নেভিন ডেলভিন নামে তিন আইএএস পড়ুয়ার।
আরও পড়ুন-হিমাচলে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩, চলছে উদ্ধারকাজ
রিপোর্টে বলা হয়েছে পুরসভা এবং দমকল বিভাগের তরফে আগেও নিয়ম ভাঙার জন্য কোচিং সেন্টারের মালিককে নোটিস দেওয়া হয়। তবু সবকিছু জানার পরেও কোচিং সেন্টারের মালিকের বিরুদ্ধে প্রশাসনের তরফে কোনও রকম পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, যে একটি অফিস বা ব্যবসার কাজ করা হবে বলে প্রাথমিকভাবে দেখানো হয়। এই কারণেই দমকলের কাছ থেকে ‘নো অবজেকশন’ শংসাপত্রের প্রয়োজন পড়েনি। পরে ওই বাড়িটিকে কোচিং সেন্টার হিসাবে ব্যবহার করা হয়।
আরও পড়ুন-বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রয়াণে আজ পূর্ণদিবস সরকারি ছুটি ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার নিয়েছে সিবিআই। বুধবার এই মামলায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। রাজেন্দ্রনগরের ওই কোচিং সেন্টারে গিয়ে তদন্তকারী আধিকারিকরা ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখেন। তারপরেই কোচিং সেন্টারের মালিক অভিষেক গুপ্তের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। খুন, গাফিলতির জেরে মৃত্যু, ইচ্ছাকৃত ভাবে আঘাত সহ বেশ কিছু ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।