প্রতিবেদন : প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট বা পিএমএলএ (PMLA) এবং ফৌজদারি আইন বা সিআরপিসি প্রয়োগের যৌক্তিকতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিবাল৷ একটি তথাকথিত আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে কখন পিএমএলএ আইনের অধীনে নোটিশ জারি করতে পারবে ইডি আর কখনই বা সিআরপিসি ধারা প্রয়োগ করা হবে তার কোনও সুনির্দিষ্ট রূপরেখা নেই বলেও বৃহস্পতিবার অভিযোগ করেন তিনি৷ ইডি তার ক্ষমতাবলে যে কোনও সময়ে একজন অভিযুক্তকে দিল্লিতে তলব করতে পারে না বলেও দাবি জানান তিনি৷ ইডির সমনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷
আরও পড়ুন-৫২ বছর পর স্পেনকে হারিয়ে হকিতে ব্রোঞ্জ ভারতের, শুভেচ্ছাবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
সেই মামলার শুনানিতেই বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে এই দাবি করেন কপিল সিবাল। শুনানিতে তিনি বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই তিনবার ইডির জেরার মুখোমুখি হয়েছেন। মামলার তদন্তে কেন্দ্রীয় এজেন্সির সঙ্গে সবরকম সহযোগিতা করছেন। প্রয়োজনীয় সব নথিও দিয়েছেন। কিন্তু তারপরেও কেন তাঁকে এবং তাঁর স্ত্রীকে জেরার জন্য সমন পাঠিয়ে বারবার একই ভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে, প্রশ্ন তোলেন কপিল সিবাল৷ তাঁর সওয়ালের পর ইডির আইনজীবী সওয়াল শুরু করেন৷ কিন্তু সময়াভাবে সেই সওয়াল শেষ হয়নি৷ এরপরই বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানিয়ে দেয় আগামী ১৩ অগাস্ট দুপুর দুটোয় মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। এর আগে ইডির সমনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁকে এবং তাঁর স্ত্রীকে ইডি বারবার জেরার জন্য সমন পাঠিয়ে হেনস্থা করছে বলে অভিযোগ করার পাশাপাশি গোটা বিষয়ে শীর্ষ আদালতের হস্তক্ষেপও দাবি করেন তিনি।