প্রতিবেদন : সাম্প্রতিক অতিবৃষ্টি এবং আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে রাজ্য সরকার বাংলা (West Bengal) শস্যবিমার ব্যপ্তি বাড়ানোর উপর জোর দিচ্ছে। এজন্যই কৃষি দফতর চলতি মাস থেকে জেলায় জেলায় শিবিরের আয়োজন করবে। প্রয়োজনে যা সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি অবধি চালানো হবে। এই মর্মে কৃষি দফতরের তরফে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। রাজ্যের সমস্ত কৃষককেই বিমার আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এরজন্য জেলাগুলিকে লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। জেলাগুলির ব্লক অফিসের পাশাপাশি অন্য কোথাও ক্যাম্প করা যায় কি না, তা নিয়েও আলোচনা চলছে বলে কৃষি দফতর সূত্রে জানা গেছে। ২০১৯ সালে বাংলা শস্যবিমা প্রকল্প শুরু হওয়ার পর থেকে কৃষকদের ফসলের ক্ষতিপূরণ বাবদ ২,২৮৬ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ করা হয়েছে। এর ফলে ৮৫ লক্ষ কৃষক উপকৃত হয়েছেন। গত খরিফ মরশুমের জন্য বাংলা শস্যবিমা যোজনা প্রকল্পের আওতায় রাজ্য সরকার শস্যহানি বাবদ ১১ লাখ কৃষকদের ১০২ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। ইতিমধ্যে উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে কৃষি দফতর সূত্রে জানা গেছে।
আরও পড়ুন- ভগবানপুরে সমবায় ভোটেই ফিরল মানুষের আস্থা, বর্ধমানে কৃষিজীবীদের ভরসা তৃণমূল
নিম্নচাপ এবং বর্ষার বৃষ্টির জন্য বাংলার (West Bengal) প্রায় সব জেলার নীচু জমিতে জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। আর তার জেরে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা। সেই উদ্বেগের খবর কানে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীরও। আর তাই তিনি নির্দেশ দিয়েছেন যত দ্রুত সম্ভব ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের বাংলা শস্যবিমার আওতায় নিয়ে আসা হয়। চাষিরা ধান রোপণের কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। সেই কারণেই মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে বিমা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ-বছর বেশি সংখ্যক চাষি আলু চাষে বিমা করেছিলেন। তাঁর সুফল তাঁরা পেয়েছেন। ১০০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ রাজ্যের চাষিরা পেয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত ধান চাষিরাও যাতে ক্ষতিপূরণ পান তার জন্য জেলায় জেলায়, ব্লকে ব্লকে শিবির করার ওপর জোর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার প্রতিটি জেলাতেই বেশি সংখ্যক চাষিকে বিমা করানোর টার্গেট নেওয়া হয়েছে। কবে কোথায় ক্যাম্প হবে, তা জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা বৈঠকে বসে ঠিক করবেন। সমস্ত পঞ্চায়েত এলাকায় মাইকে প্রচারও করা হবে।