প্রতিবেদন: শ্বেতপত্র প্রকাশ নিয়ে তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চ্যালেঞ্জের মুখে নীরবই রইলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। স্পষ্ট হয়ে গেল কোনও সদুত্তর নেই তাঁর কাছে। রাজ্যসভায় ফিনান্স বিল নিয়ে সওয়া ঘণ্টা বক্তব্য রাখলেও ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবিমতো বাংলার বকেয়া নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ নিয়ে একটি শব্দও বলতে পারলেন না কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন৷ বৃহস্পতিবার এই ইস্যুতেই রাজ্যসভায় নির্মলাকে চেপে ধরেন তৃণমূল সাংসদরা৷ অধিবেশন চলাকালীনই রাজ্যসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন প্রশ্ন করেন, কেন বিমা এবং স্বাস্থ্যবিমার উপর থেকে ১৮ শতাংশ জিএসটি প্রত্যাহারের দাবির বিষয়ে একটি কথাও বলছেন না নির্মলা? কেন জিএসটি কাউন্সিলের কথা বলে তিনি বিষয়টি এড়াতে চাইছেন? এর পরেই নির্মলা বলেন, একজন মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে চিঠি লিখেছেন৷ এতে আরও ক্ষুব্ধ হয় তৃণমূল শিবির৷ সঙ্গে সঙ্গেই নির্মলাকে পাল্টা প্রশ্ন করে তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেছেন, একজন মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে চিঠি লিখেছেন৷ আমাদের মুখ্যমন্ত্রী একজন মুখ্যমন্ত্রী নন৷ কেন তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা বলছেন না? এই প্রশ্নের কোনও উত্তর দিতে পারেননি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী৷ আসলে নির্মলার কাছে বাংলার বকেয়া নিয়ে কোনও যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যাই নেই এবং বিমা-স্বাস্থ্যবিমার উপরে চাপিয়ে দেওয়া অযৌক্তিক জিএসটি ইস্যুতে তিনি ঘরে-বাইরে প্রবল চাপের মুখে আছেন বলেই এদিন সওয়া ঘণ্টার ভাষণে একবারের জন্যও সেই বিষয়টি উল্লেখ করার সাহস পাননি, এমনটাই অভিযোগ করা হয়েছে তৃণমূল শিবিরের তরফে৷
আরও পড়ুন- এই হিংসার ছবি মন ভেঙে দিচ্ছে, বললেন হাসিনাকন্যা পুতুল
এদিকে, বৃহস্পতিবার আরও একবার রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়ে বিরোধী শিবির৷ ইন্ডিয়া জোটের সংসদীয় নেতাদের দুপুর দেড়টা নাগাদ নিজের চেম্বারে বৈঠকে ডাকেন জগদীপ ধনকড়। সূত্রের খবর, বৈঠকে প্রথম ১৫ মিনিট বক্তব্য রাখেন চেয়ারম্যান নিজেই। বলেছেন, তিনি নিজে ওবিসি সম্প্রদায়ের মানুষ হওয়ায় তাঁকে গ্রাহ্য করা হচ্ছে না। ধনকড়ের এই বক্তব্যের তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন বিরোধী সাংসদরা। তাঁদের তরফে স্পষ্ট বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, চেয়ারম্যানকে নিয়ে বিরোধী শিবিরের কোনও সমস্যা নেই। ইন্ডিয়া জোটের সামগ্রিক বিরোধিতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে।