সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি : শুক্রবার সকাল। সবে ঘুম ভেঙেছে। অনেকে তখনও ঘুমের ঘোরে। আচমকাই দুলে উঠল ঘরে থাকা খাট, আলমারি ও আসবাবপত্র। কেঁপে উঠে ঘরবাড়ি থেকে বহুতল। দুলুনি টের পেতেই ঘুমচোখে প্রাণভয়ে দৌড়ে বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন বাসিন্দারা। চোখেমুখে আতঙ্ক। এটাই ছিল শুক্রবার সকালে উত্তরের জেলাগুলি ও সিকিমের ছবি। সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও প্রতিবেশী রাজ্য সিকিমে। বাদ যায়নি উত্তর দিনাজপুর, আলিপুরদুয়ারও। তবে এদিনের ভূমিকম্পে (Earthquake) এখনও পর্যন্ত বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি। এদিন সকাল ৬টা বেজে ২৭ মিনিটে আচমকাই ভূমিকম্পে কেঁপে উঠে উত্তরের কয়েকটি জেলা ও সিকিম। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৪। দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ি জেলায় সব থেকে বেশি কম্পন অনুভূত হয়। কম্পন টের পেয়েছেন উত্তর দিনাজপুর, আলিপুরদুয়ারের বাসিন্দারাও। এদিনের ভূমিকম্পের (Earthquake) উৎস্যস্থল ছিল সিকিমের নামচি এলাকা। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল তাদং থেকে প্রায় ২৯ কিলোমিটার দূরে।
গোটা সিকিম জুড়েই ভারী কম্পন অনুভূত হয়েছে। ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০ কিমি গভীরে এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। আর সেই কারণেই ভূমিকম্পের মাত্রা খুব বেশি না হলেও দুলুনি ভালই টের পেয়েছেন উত্তরের দুই জেলা ও সিকিমের বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন-মেয়েটা কেন সোনা আনতে পারল না, ক’দিন পরেই জানতে পারবেন, ঝাড়গ্রামে মুখ্যমন্ত্রী