হিন্ডেনবার্গ রিসার্চে (Hindenburg Research) এবার নয়া মোড়। তাদের প্রকাশ্যে আনা প্রতিবেদনে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে আদানির টাকা অন্যত্র পাঠানোর এই ঘটনায় অফসোর সংস্থায় সেবির (SEBI) চেয়ারপার্সন মাধবী বুচ ও তার স্বামীর অংশীদারিত্ব ছিল। হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘আমাদের নজরে আগেই এসেছে সেবির চেয়ারপার্সনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের ফলে তারা এটা নিশ্চিত ছিল যে আদানির যে কর্মকাণ্ড তাতে নজরদারির কোনও সম্ভাবনা নেই। প্রাথমিকভাবে বোঝা যাচ্ছিল না যে সেবির চেয়ারপার্সন ও তাঁর স্বামীর সঙ্গে কিছু গোপন ব্যাপার ছিল বারমুডা ও মরিশাস ফান্ড সম্পর্কিত ব্যাপারগুলি নিয়ে। দেখা গিয়েছে, ৫ জুন ২০১৫ সালে মাধবী ও তাঁর স্বামী ধাবাল প্রথম আইপিই প্লাস ফান্ডের ১-এর সঙ্গে সিঙ্গাপুরে অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন। আর সেই ফান্ডের উৎস ছিল স্যালারি। দম্পতির মোট সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।’
আরও পড়ুন-মেরুকরণের রাজনীতিতে শান দিচ্ছে ওরা
শনিবার সকালে হিন্ডেনবার্গের এক্স হ্যান্ডেলে ভারতে বড় কিছু ঘটনার ইঙ্গিত দেওয়া হয়। তবে কী ধরনের বড় ঘটনা তা নিয়ে বিশেষ কিছু জানায়নি। হুইসেলব্লোয়ার নথি তুলে ধরে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চে বলা হয়েছে, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়ার (SEBI) চেয়ারপার্সন মাধবী বুচ এবং তার স্বামী আদানি গ্রুপের আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত অফশোর সংস্থাগুলিতে শেয়ারের মালিক ছিলেন। শুধু তাই নয়, বারমুডা ও মরিশাসের অখ্যাত অফশোর ফান্ডে মাধবী বুচ ও তাঁর স্বামীর অঘোষিত বিনিয়োগ ছিল। এই বিনিয়োগগুলি ২০১৫ সালের।
এই নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে সরব হলেন সুখেন্দু শেখর রায়। তিনি এই প্রতিবেদন তুলে ধরে লেখেন, ”হুইসেল ব্লোয়ার নথি প্রকাশ করেছে যে আদানি মানি সিফোনিং কেলেঙ্কারিতে ব্যবহৃত অস্পষ্ট অফশোর সত্তাগুলিতে সেবি-র চেয়ারপার্সনের অংশীদারি ছিল – হিন্ডেনবার্গ গবেষণা। সাংবিধানিক নৈতিকতার দাবি অন্তত এখন সুপ্রিম কোর্ট যেন জাতীয় স্বার্থে কাজ শুরু করে।”
Constitutional morality demands that at least now the Supreme Court begins to act in national interest.
— Sukhendu Sekhar Ray (@Sukhendusekhar) August 10, 2024
সুস্মিতা দেব এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ”এখন আমরা জানি SEBI কেন হিন্ডেনবার্গ কেলেঙ্কারির পর ক্লিন চিট দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সবথেকে সবচেয়ে কাছের সংস্থাকে!”
Now we know why SEBI gave a Clean Chit to @PMOIndia’s closest after the Hindenburg scandal! https://t.co/71hoBj2UUb
— Sushmita Dev সুস্মিতা দেব (@SushmitaDevAITC) August 10, 2024
আরও পড়ুন-৪৭ লক্ষ টাকায় পুরসভার উদ্যোগে আলোয় সাজছে দুর্গাপুরের নগরবন
সাকেত গোখেল নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ”এটি একটি বিস্ফোরক ঘটনা! SEBI-এর চেয়ারপার্সন কেন প্রতিনিধিত্ব সত্ত্বেও বিজেপির কথিত এক্সিট পোল-স্টক মার্কেট কেলেঙ্কারির তদন্ত করতে অস্বীকার করেছেন সেই নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই। এমনকি মুম্বইতে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস ও জোট সাংসদের সাথে বৈঠক করার পরেও সেবির কোনরকম পদক্ষেপ না নেওয়ার পেছনে কারণ এবার স্পষ্ট৷”
This is explosive!
Also now raises serious questions on why SEBI Chairperson has refused to investigate the alleged exit poll-stock market scam of BJP despite representations from @AITCofficial & even after SEBI meeting MPs of INDIA parties in Mumbai.
Is SEBI autonomous at all? https://t.co/etrtXE2J8Z
— Saket Gokhale MP (@SaketGokhale) August 10, 2024
মহুয়া মৈত্র নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ”আমরা এই চেয়ারপারসনের অধীনে SEBI কে আদানি সম্পর্কিত কোনো তদন্তে ভরসাযোগ্য মনে করি না। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর সুপ্রিম কোর্টকে তার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে হবে।”
We cannot trust SEBI under this Chairperson to do any enquiry into Adani. Supreme Court will HAVE to revisit its decision post this information becoming public. pic.twitter.com/7ynwaeJRGy
— Mahua Moitra (@MahuaMoitra) August 10, 2024