গায়ে কাঁটা দেওয়ার মত ঘটনা আর জি করে। এর পরেই মহিলা চিকিৎসক, ছাত্রী-সহ সব মহিলাদের সুরক্ষার জন্য ১৫ দফার নির্দেশিকা জারি করল লালবাজার (Lalbazar)। বৃহস্পতিবার রাতে আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের সেমিনার রুমের ঘটনায় দেখা গিয়েছে সুরক্ষা ব্যবস্থায় একাধিক ফাঁকফোকর রয়েছে। কীভাবে সকলের নজর এড়িয়ে এমনকি সিসিটিভি থাকা সত্ত্বেও ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সহজেই সেমিনার রুমে পৌঁছে গিয়েছিল, সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এর পরেই মহিলাদের সুরক্ষা নিয়ে ১৫ দফার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে লালবাজারের তরফে।
দ্রুত অপরাধপ্রবণ এলাকা চিহ্নিত করতে হবে।
সরকারি হাসপাতাল, মহিলাদের হস্টেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনও খামতি আছে কিনা, সেটা খতিয়ে দেখতে হবে। কোথাও নজরদারির অভাব থাকলে সেটা নিয়ে অবিলম্বে পদক্ষেপ করতে হবে। হোমের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য।
শহরের মহিলা চিকিৎসকদের সঙ্গে বাড়াতে হবে যোগাযোগ। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগলে জানতে হবে পুলিশকে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম লাগু হবে। এই ক্ষেত্রে মহিলা পুলিশ অফিসারদের সাহায্য নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শহরের বিভিন্ন প্রান্তে আরও বেশি সংখ্যক সিসিটিভি বসাতে হবে।
মহিলা পুলিশ অফিসারদের সব হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজে গিয়ে পরিদর্শন করতে হবে ।
মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে সাধারণ মানুষকে আরও বেশি সচেতন করতে হবে।
কলকাতার মহিলা পুলিশের ‘উইনার’ টিমকে সক্রিয় হতে বলা হয়েছে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় টহল দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সুরক্ষার খামতি নিয়ে হাসপাতালের চিকিৎসক এবং কর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে হবে।
অধঃস্তন কর্মীদের সচেতন করার দায়িত্ব থাকবে হাসপাতালের অধিকারিকদের।
হেল্পলাইন নম্বর সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে হবে।
মহিলা এবং বয়স্ক মানুষদের সঙ্গে কীরকম আচরণ করতে হবে, এই নিয়ে প্রয়োজনীয় শিক্ষা দিতে হবে।
পুলিশ ফোর্সের মধ্যেও নজরদারি বাড়াতে হবে।
আইন ভাঙলে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি মানা হবে। সিভিক ভলান্টিয়ার, চুক্তিভিত্তিক কর্মী, গ্রিন পুলিশের কেউ কোনও অপরাধ করলে তাঁদের বিরুদ্ধেও থাকবে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি।
লালবাজারের তরফে নির্দেশ মেনে চলতে হবে।
মহিলাদের ও শিশুদের সুরক্ষায় কোন রকম আপোষ চলবে না।