ড্রাগন ফল চাষে লাভের মুখ দেখছেন জলপাইগুড়ির কৃষক

বিদেশি ফলের গাছকে বাগে এনে, সঠিক পরিচর্যা করে প্রথমে বাড়িয়ে তোলা আর তারপর সেই গাছ থেকে মেলে পরিশ্রমের ফল।

Must read

সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি : একেবারেই বিদেশি খাদ্য, জন্মসূত্রেও বিদেশি। বিশেষ করে জনপ্রিয় সবচাইতে বেশি আমেরিকাতে। দেখতে কিছুটা অদ্ভুত রকমের হলেও মানব দেহের জন্য খুবই উপকারী এই ফল। বৈজ্ঞানিকরা আবার এটাও জানিয়েছেন যে, এই ফলের মধ্যে রয়েছে ক্যানসার প্রতিরোধ করার ক্ষমতা। তাই এই ফল সাধারণ মানুষের চাহিদার তালিকার মধ্যে রয়েছে বেশ অনেকটাই ওপরের দিকে। বর্তমান সময়ে তাই এই ফলের চাহিদা বিভিন্ন বাজারগুলিতে বেড়েই চলেছে ক্রমাগত। এই প্রথম ব্যাপক জায়গা জুড়ে ড্রাগন ফল চাষ করে রীতিমতো সকলকে চমকে দিয়েছেন জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ির বাসিন্দা শ্যামল পাল।

আরও পড়ুন-চটশিল্পকে ধ্বংস করতে চাওয়া কেন্দ্রের চক্রান্ত ব্যর্থ করতে, আজ কড়া প্রতিবাদে আইএনটিটিইউসি

বিদেশি ফলের গাছকে বাগে এনে, সঠিক পরিচর্যা করে প্রথমে বাড়িয়ে তোলা আর তারপর সেই গাছ থেকে মেলে পরিশ্রমের ফল। কথায় বলে, মনের সংকল্প যদি দৃঢ় হয়, তাহলে সব কিছুই সম্ভব। সেটাই প্রমাণ করে দিয়েছেন এই ব্যক্তি। তাঁর কাছ থেকেই কীভাবে এই চাষ হবে তা জেনে এখন অনেক কৃষকেরই আগ্রহ বেড়েছে এই চাষে। তবে বর্তমানে বয়সের ভারে তিনি এখন পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগী, তাই এই ফলের চাষবাসের দায়িত্ব এসে পড়েছে সুপেন হাজরার ওপর। সুপেন হাজরাই গুজরাটের থেকে এই গাছের চারা আনা শুরু করে, বিদেশি এই ফলের গুণগত মান বাড়ানোর জন্য চাষের জমি তৈরি করা। চাষের জমিতে সিমেন্টের খুঁটি নিয়ে এসে তার ওপর পুরনো টায়ার বেঁধে সযত্নে নিজের সন্তানের মতো বড় করেছেন ড্রাগন ফলের গাছগুলিকে। বিভিন্ন সময়ে অনেক কারণে বিশেষ করে আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করে বারবার অনেক অসুখেও ভুগেছে গাছ। সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে চিকিৎসা করে এখন অনেকটাই সুস্থ গাছগুলি, আবারও শুরু করেছে আগের মতোই ফল দেওয়া। চাষি সুপেন হাজরা বলেন, সঠিক পদ্ধতিতে যদি এই চাষ করা যায় তবে অবশ্যই লাভের মুখ দেখতে পাবেন কৃষক।

Latest article