বাদল অধিবেশনে নয়া এই সম্প্রচার বিলটির খসড়া কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Aswini Vaishnav) উত্থাপন করেছিলেন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে এই নিয়ে যাবতীয় তথ্য দেওয়া হয়েছে। গত বছরের নভেম্বরে এটির খসড়া তৈরি করা হয়। তারপর থেকেই বিরোধীরা এই খসড়া বিলের বিরোধিতা করে সরব হন। সংশ্লিষ্ট পক্ষ থেকেও এই নিয়ে আপত্তি জানানো হয়। গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে ‘লাগাম পরানোর’ উদ্দেশ্যে সরকার এই বিল আনতে চলেছে বলে বিরোধীরা আপত্তি জানায়। এর ফলে কেন্দ্র মিডিয়া ও সমাজমাধ্যমের বাক স্বাধীনতা ও সাধারণ মানুষের কণ্ঠরোধ করতে চাইছে বলে মনে করেছে রাজনৈতিক মহল। অবশেষে বিতর্ক ও সমালোচনার চাপে সম্প্রচার পরিষেবা (ব্রডকাস্টিং) নিয়ন্ত্রণ বিল ২০২৪-এর খসড়া প্রতাহ্যার করেছে কেন্দ্র।
আরও পড়ুন-শিশুর যৌ.ন নিগ্রহের ঘটনায় বিচার হতে পারে অভিযুক্ত মহিলার
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে সংসদে সম্প্রচার পরিষেবা নিয়ন্ত্রণ বিল পেশ করার কথা বলে নরেন্দ্র মোদি সরকার। কিন্তু খসড়া প্রস্তুতির প্রক্রিয়া নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। বিরোধীদের অভিযোগ, সংসদে পেশ হওয়ার আগেই প্রকাশ্যে আসে এই খসড়া। এই খসড়া বিল নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করে বিরোধীরা বলেন মোদি সরকার প্রাতিষ্ঠানিক সংবাদমাধ্যমের পর এবার সমাজমাধ্যমেও লাগাম পরাতে চাইছে। যেকোন সংবাদমাধ্যমে নিজেদের স্বপক্ষে খবর না হলে সেটি ‘ভুয়ো খবর’ বলে দাগিয়ে দেওয়া হবে। এই মুহূর্তে অনেকেই ইউটিউব চ্যানেল চালিয়ে বর্তমান সরকারে কাজের খুঁত, ভুলত্রুটি জনসমক্ষে আনছে। এরফলে এইবারের নির্বাচনে বিজেপিকে ফল ভোগ করতে হয়েছে। তাই সরকার এবার তাঁদের উপর নজরদারি চালাতে চাইছে। নতুন বিল এনে সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে আপাতত বিতর্কের মুখে সম্প্রচার পরিষেবা (ব্রডকাস্টিং) নিয়ন্ত্রণ বিলের খসড়া প্রত্যাহার করল কেন্দ্রীয় সরকার।