উত্তরবঙ্গ ব্যুরো : কেন্দ্রীয় সরকার যথারীতি উপেক্ষা করলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে স্বপ্নপূরণ হল পাহাড়বাসীর। দার্জিলিঙে চালু হল হিল ইউনিভার্সিটি। মুখ্যমন্ত্রী কথা দিলে যে কথা রাখেন, তা প্রমাণিত হয়েছে বারংবার। পাহাড় থেকে সমতল, সার্বিক উন্নয়নের আওতা থেকে বাদ যায়নি কোনও এলাকা। এবার উচ্চশিক্ষার দুয়ার খুলে গেল হিমালয়ের কোলে। তারই জেরে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি পাহাড়বাসীর আস্থা বাড়ল।
আরও পড়ুন : মালদহে ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পে ৬৬ কোটি, উপকৃত ৩২৯৬
২০১৮-র সেপ্টেম্বরে মংপুর যোগীঘাটে দার্জিলিং হিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিলান্যাস হয়। এখনও চলছে নির্মাণকাজ। মংপু আইটিআই-এর নতুন ভবনে অস্থায়ীভাবে পথচলা শুরু করল পাহাড়ের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়। এর আগে উচ্চশিক্ষার জন্য অন্যত্র ছুটতে হত পাহাড়বাসীকে। মুখ্যমন্ত্রী সেই বহু পুরনো সমস্যার স্থায়ী সমাধান করলেন। আপাতত ৬টি বিষয় পড়ার সুযোগ পাবে ছাত্রছাত্রীরা— নেপালি, ইংরেজি, ইতিহাস, ভূগোল, ইতিহাস, গণিত, মাস-কমিউনিকেশন। চালু হয়েছে ওয়েবসাইট। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ভর্তিপ্রক্রিয়া চলবে। আপাতত ৬ মাস অনলাইন ক্লাস হবে। সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে দার্জিলিং হিল ইউনিভার্সিটির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দার্জিলিংয়ে একটি পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। জিটিএ চুক্তি অনুসারে পাহাড়ে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার কথা। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার সাড়া না-দেওয়ায় ২০১৭ সালে রাজ্য সরকার মংপুতে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির কথা ঘোষণা করে। মুখ্যমন্ত্রী দার্জিলিংয়ে এক অনুষ্ঠানে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিলান্যাসও করেন। অবশেষে সেই আশা পূরণ হল পাহাড়বাসীর।