সব স্বাধীনতা সংগ্রামীর নাম এক বইয়ে, পরিকল্পনা মুখ্যমন্ত্রীর

বুধবার হাজরা ও বেহালায় প্রাক-স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান থেকে ফের একবার সেই পরিকল্পনার কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Must read

প্রতিবেদন : দেশের জন্য প্রাণ বলিদান দিয়েছেন যাঁরা, তাঁদের অনেকেই রয়ে গিয়েছেন আড়ালে। এবার তাঁদের সবার নাম একটি বইয়ে লিপিবদ্ধ করার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য। বুধবার হাজরা ও বেহালায় প্রাক-স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান থেকে ফের একবার সেই পরিকল্পনার কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের অনুষ্ঠানে ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, মেয়র ফিরহাদ হাকিম, বিধায়ক দেবাশিস কুমার, রাজ্য-সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার প্রমুখ।

আরও পড়ুন-ঘূর্ণাবর্ত থেকে অক্ষরেখা জোড়াফলায় বাড়বে বৃষ্টি

এদিন তিনি বলেন, ভারতবর্ষের স্বাধীনতা এসেছিল মধ্যরাতে। আমরা সেই মধ্যরাতেই স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মরণ করি এবং শ্রদ্ধা জানাই। আজকের দিনে আমরা স্মরণ করি তাঁদের, যাঁরা দেশের জন্য বলিদান দিয়েছেন। তাঁদের নাম অমর অক্ষরে লিখে রাখতে প্রয়াস শুরু করেছি আমরা। যাঁদের নাম কেউ জানে না, এমন চার-পাঁচটা নাম খুঁজে কয়েকটা বই লিখেছি। যারা স্কুল-কলেজে পড়াশোনা করে তাদের এই ইতিহাস জানতে হবে। দেশকে জানতে গেলে কার কী কন্ট্রিবিউশন সেটা যেমন জানার প্রয়োজন আছে, তেমনি আমাদের মাতৃভূমিকেও সম্মান জানাতে তা দরকার। মুখ্যমন্ত্রী এদিন সাফ জানান, আমাকে হাজারটা গালাগালি দিন, কিন্তু বাংলার মাকে অসম্মান করবেন না।
এ-প্রসঙ্গে সিপিএম ও বিজেপিকে একহাত নেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, যারা এ-আজাদি ঝুটা হ্যায় বলত, তারা স্বাধীনতা দিবসের মর্যাদা বুঝবে কী করে! সিপিএম আমলে ৩৪ বছরের মধ্যে শেষ দু-বছর স্বাধীনতা পালন করেছিল। একবার তো আবার উল্টো জাতীয় পতাকা লাগানো হয়েছিল! বিজেপির তো তখন জন্মই হয়নি। এখন তাদের কাজ দেশটাকে ছিন্নবিচ্ছিন্ন করা, ধর্মে-বর্ণে, জাতিতে-জাতিতে ভেদাভেদ লাগিয়ে দেওয়া।

আরও পড়ুন-প্রতিবন্ধী মায়ের জটিল অপারেশনে সফল সরকারি চিকিৎসকেরা, বুধবার জন্ম, মায়ের ইচ্ছায় নাম কন্যাশ্রী

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ১৫ অগাস্ট দেশ মাতৃকাকে সম্মান জানানোর দিন। জেলায় জেলায় ব্লকে ব্লকে স্বাধীনতা দিবস পালন করা হবে। এদিন মধ্যরাত থেকেই তা শুরু হয়ে যাচ্ছে। তারপর রয়েছে রাখিবন্ধনের উৎসব। ভাইদের দায়িত্ব নিতে হবে বোনদের রক্ষা করার। আমি নারীশক্তিতে বিশ্বাস করি। বাংলা নারীশক্তির জন্য যা করেছে, সে-শিক্ষা আমরা বিদ্যাসাগরের থেকে পেয়েছি। আমরা অনেক কর্মসূচি নারীশক্তির জন্য নিয়েছি। তাতেই সিপিএম-বিজেপির খুব রাগ হয়। আস্তে আস্তে আপনারা বুঝবেন, আসল রহস্য কোথায়। তিনি বলেন, আমরা অন্যায়ের কাছে মাথা নত কোনওদিনও করিনি, করবও না। আমরা মাথা নত করতে হলে মানুষের কাছে করব, অন্য কারও কাছে নয়।

Latest article