কলকাতা পুলিশ প্রথম থেকে নিজেদের কর্তব্যে অবিচল। তার পরেও একের পর এক গুজব। তার জেরেই স্বাধীনতা দিবসের রাতে তছনছ আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ। মধ্যরাতে পুলিশের উপর হামলা রুখে দাবি পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের।
রাত ১.৫০-এ আর জি করের সামনে পৌঁছন পুলিশ কমিশনার। ভাঙচুর হওয়া আর জি করের ভিতরে ঢুকে পরিস্থিতি বুঝে নেন। গোটা পরিস্থিতি দেখে কার্যত মেজাজ হারান নগরপাল।
শেষ পর্যন্ত তিনি দাবি করেন, গোটা পরিস্থিতির জন্য দায়ী সংবাদ মাধ্যম। মিথ্যে গুজব ছড়ানোর কারণেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে। তাঁর দাবি, কলকাতা পুলিশের তদন্ত ঠিক পথেই এগোচ্ছিল। পুলিশ আন্দোলনকারী ও নির্যাতিতার পরিবারের সব দাবিই মেনে নিয়েছিল।
আরও পড়ুন: গভীর রাতে আর জি করে দুষ্কৃতী তাণ্ডব: গর্জে উঠলেন অভিষেক, বললেন CP-র সঙ্গে কথা
কার্যত হাইকোর্ট এই তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার ক্ষোভ সংবাদ মাধ্যমের উপর উগরে দেন নগরপাল। তিনি বলেন, পুলিশ মূল দোষীকে গ্রেফতার করেছিল। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকিদের ধরার প্রক্রিয়াও চলছিল। সিবিআই এই তদন্তভার নেওয়ার পরে সবরকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতিও দেন। তারপরেও এক দরিদ্র পরিবারের ছাত্রের নাম নিয়ে গুজব ছড়ায়। হাসপাতালের মধ্যে ইচ্ছাকৃত তথ্য প্রমাণ নষ্টের গুজব ছড়ানোয় পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে চলে যায়।
তিনি আরও জানান, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাদের আমি বলেছি একটি কমিটি গঠন করুন। সেখানে আমি সমস্ত রকমের প্রশ্ন ক্লিয়ার করব। চারপাশে মিথ্যা প্রচার চালানো হচ্ছে। আরজিকরের ঘটনায় আমি এবং আমার টিম উদ্বিগ্ন।
তবে পুলিশ কমিশনার ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পরেই আর জি করের সামনের পরিস্থিতি আয়ত্তে চলে আসে পুলিশের। দুষ্কৃতীদের এলাকাছাড়া করার পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা বিক্ষোভকারীদেরও সরিয়ে দেওয়া হয় এলাকা থেকে। মাত্র আধঘণ্টায় নিয়ন্ত্রণ হয় পরিস্থিতি।