আজকাল প্রি-ওয়েডিং, পোস্ট-ওয়েডিং, অন্নপ্রাশন, জন্মদিন, মিটিং-মিছিল, পুজো, অনুষ্ঠান— সবকিছুতেই ফটোশ্যুট মাস্ট। কিন্তু তাই বলে ডিভোর্সের প্রি-সেলিব্রেশন ফটোশ্যুট!! এটা কি সত্যি হতে পারে! অবশ্যই হতে পারে। সম্প্রতি এক মার্কিন মহিলা নিজের ডিভোর্সের সেলিব্রেশন করলেন বেশ ধুমধাম করে। লাল গাউনে সেজে, স্বামীর ছবি ছিঁড়ে, নিজের হিল জুতোটাকে আগুনে ফেলে নানারকম পোজ দিয়ে ছবিও তুললেন। সেই সব ছবি, ভিডিও হু-হু করে ভাইরালও হল। এটা দেখে বেশ নড়েচড়ে বসলেন সবাই— এমনটাও হয় বুঝি! দিন যে বদলাচ্ছে তা আর বলে দিতে হয় না। হাতের কাছে মুঠোফোন, আন্তর্জাল সবকিছুকে এতটাই সহজলভ্য করে তুলেছে যে বিবাহবিচ্ছেদও এখন মুড়ি আর মুড়কি। বিশেষ করে এই দেশে যেখানে সেলিব্রিটি, নামজাদা ব্যক্তিত্বরা মনীষীদের থেকেও বেশি জনপ্রিয়তা বহন করেন। সেই দেশের সেলিব্রিটি হয়ে ওঠেন সবার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। তাঁদের বিলাসবহুল জীবনযাপন, প্রত্যেক দিনের রোজনামচা, চাল-চলন-বলন খবর হয়ে যায়। আন্তর্জালের সৌজন্যে নামজাদারা হয়ে যান আমজাদা। নিজের অজান্তে কখন যে এঁরাই হয়ে ওঠেন আমাদের রোল মডেল তা টের পাই না। তাঁদের ভালমন্দ, ত্রুটি-বিচ্যুতি সবকিছুই সংক্রামক রোগের মতো সাধারণের জীবনে ছড়ায় এবং প্রতিমুহূর্তকে প্রভাবিত করতে শুরু করে। সেলিব্রিটিরা যেমন করে ভাবেন তেমনটাই যেন আমাদের ভাবনা হয়ে ওঠে। তাঁরা ট্রোলড হন আমরা উত্তেজিত হই, তাঁরা প্রশংসিত হন আমরা খুশি হই, তাঁরা উপেক্ষিত হন আমরা দুঃখ পাই, আমরা শুধুই তাঁদের অনুসরণ আর অনুকরণ করে চলি। ডিভোর্সটাও আমাদের কাছে আজ খুব সহজ, স্বাভাবিক একটা বিষয় এবং প্রি-ডিভোর্স সেলিব্রেশনটাও। কিন্তু নিজেদের অজান্তেই যাঁদের অনুকরণ করে চলতে থাকি তাঁদের জীবনটা পর্দার আড়ালে ততটাও ঝাঁ-চকচকে হয় না। বাস্তবিক তাঁদের সম্পর্কগুলো সিনেমা সিরিয়ালের মতো কল্পনায় ডানা মেলে ওড়ে না। তেমনটাই দেখা যাচ্ছে ইদানীং টলিউড বা বলিউডের সেলিব্রিটিদের জীবনেও। সবর্ত্র তারকাদের সম্পর্ক আর বিয়ের ভাঙার হিড়িক। যার কিছুটা গুজব আবার অনেকটাই সত্যি। তাসের ঘরে মতো ভেঙে পড়ছে তারকাদের দাম্পত্য।
আরও পড়ুন-কেন এই বিচ্ছেদ
বাংলা সিনে ইন্ডাস্ট্রিতে একের পর এক বিয়ে ভাঙার গুঞ্জন। এই মুহূর্তে টলিপাড়ার সবচেয়ে চর্চিত সেলেব দম্পতি যাঁদের বিয়ের ভাঙা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে তাঁরা হলেন অভিনেতা যিশু সেনগুপ্ত এবং নীলাঞ্জনা সেনগুপ্ত। বছরখানেক আগে ডিভোর্স নিয়ে ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন যিশু সেনগুপ্ত। একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। এই ভিডিওটি ‘লাভ বিয়ে আজকালের’ শুরুর সময় করা হয়েছিল। স্টার জলসার সদ্য শেষ হওয়া সেই ধারাবাহিকে কন্ট্রাক্ট ম্যারেজ, ডিভোর্স ইত্যাদির কথা বলতে গিয়ে নিজেদের বিষয়ে বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে যিশুর মত ছিল, ‘‘একটা সম্পর্কে দু’জন দু’জনকে বোঝাটা খুব জরুরি, সেটা বন্ধুত্ব হোক, প্রেম হোক বা স্বামী-স্ত্রী যা-ই হোক। যেদিন বুঝব যে আমরা আর একে অন্যকে বুঝতে পারছি না বা চাইছি না তখন আলাদা হয়ে যাব।’’ তারপরেই এই বিচ্ছেদচর্চা। গত মাসেই নীলাঞ্জনার অসুস্থ থাকাকালীন স্ত্রীর পাশে যিশুর দেখা মেলেনি। ছিলেন দুই মেয়ে সারা আর জারা এবং বোন চন্দনা। এর থেকে অনেকেই অনুমান করে নিয়েছিলেন কোথাও একটা সমস্যা তাঁদের মধ্যে দেখা দিয়েছে। যাহা রটে তাহা কিছু বটে। সমাজমাধ্যমে নিজের প্রোফাইল থেকে সেনগুপ্ত পদবি ইতিমধ্যেই মুছে ফেলেছেন যিশু-পত্নী। কিন্তু ২০ বছরের প্রেম, সম্পর্ক কি এত সহজেই ভেঙে যেতে পারে! পারে— তৃতীয় কেউ এলেই তা হয়। শোনা যাচ্ছে পরকীয়া করছেন যিশু। যিশুর মুম্বইয়ের আপ্তসহায়ক গুজরাতি-কন্যা শিনাল শুর্তি। প্রায় পাঁচ বছর ধরে যিশুর গোটা কেরিয়ার নিয়ন্ত্রণ করেন এই সেলিব্রিটি ম্যানেজার। তাঁকে নিয়েই উঠেছে গুঞ্জন। শিনালের প্রেমে নাকি হাবুডুবু খাচ্ছেন যিশু, তাঁর সঙ্গেই নাকি লিভ ইন করছেন। নায়কের জাতীয় স্তরের কেরিয়ারই কাল হল তাঁদের দাম্পত্য সম্পর্কে! যিশুর কাজের দায়িত্ব নিতে নিতেই কি মনের দায়িত্বও নিয়ে ফেললেন শিনাল? প্রশ্নের উত্তরটা এখনও স্পষ্ট নয়।
এর মাঝেই নেটিজেনদের জন্য অপেক্ষা করছিল আরও এক চমক। এতগুলো দিন পর্যন্ত নিজের বৈবাহিক সম্পর্ক নিয়ে অভিনেতা অর্জুন চক্রবর্তীকে সুন্দর সুন্দর কথা বলতেই শোনা গেছে, এমনকী এই সেলেব দম্পতি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রিলস তৈরি করে নেটমাধ্যমে ছেড়েছেন সেগুলো তাঁদের সম্পর্কের সুন্দর বোঝাপড়ার দিকটাই তুলে ধরত। যদি সৃজা খুব একটা মিডিয়ার সামনে কোনওদিনই আসেননি। সম্প্রতি অর্জুন-সৃজাকে নিয়েও জল্পনা। কিছুদিন আগেই স্বামী অর্জুন চক্রবর্তীর সব ছবি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে মুছলেন স্ত্রী সৃজা। এমনকী, আনফলোও করেছেন অর্জুনকে। সূত্রের খবর, সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তির আগমনের কারণেই নাকি দূরত্ব বেড়েছে চক্রবর্তী-দম্পতির মধ্যে। বহু বছরের প্রেম তাঁদের এবং কেরিয়ারের প্রায় শুরুতেই বিয়ে করেন অর্জুন-সৃজা। তাঁদের কন্যাসন্তানকে নিয়ে সুখের সংসার। সেই সুখের সংসারেই কি তবে ধরল চিড়!
আরও পড়ুন-ভোররাতে লাইনচ্যুত সবরমতী এক্সপ্রেস
এ-যেন ডিভোর্সের ট্রেন্ড শুরু হয়েছে। যিশু-নীলাঞ্জনা, অর্জুন-সৃজার বিবাহবিচ্ছেদের খবরে যখন সরগরম নেট মহল তখন এর মাঝেই জনপ্রিয় অভিনেতা ঋষি কৌশিকের একটি পোস্ট দেখে মনের মধ্যে নানান প্রশ্নের উঁকিঝুঁকি। কিছুদিন আগে তিনি তাঁর ফেসবুক পেজে পোস্ট করে লেখেন, ‘মেরুদণ্ডহীন, আত্মসম্মানহীন, লোভী এবং আপাদমস্তক ভুল মানুষের সাথে পথ চলার চাইতে সারাজীবন একলা চলা অত্যন্ত সুখ, শান্তি এবং সম্মানের।’ আর এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখেছেন নেটিজেন থেকে ঋষির ফ্যান ফলোয়াররা। তার কিছুদিনের মধ্যে একটা ভিডিও ভাইরাল হল ঋষির, ব্যস সেই ধিকি ধিকি আগুনে পুরো ঘৃতাহুতি। সেই ভিডিওতে ঋষির বক্তব্য বেশ স্পষ্ট। তিনি তাঁর স্ত্রী দেবযানীকে নিয়ে একছাদের তলায় থাকতে একেবারেই প্রস্তুত নন। এরপরেই শুরু হয়ে গেছে ঋষি-দেবযানী দ্বৈরথ। দেবযানী আইনের হুমকিও দিয়েছেন ঋষিকে। ১২ বছরে দাম্পত্যে এবার যতিচিহ্ন পড়তে চলেছে দেবযানী আর ঋষির। দেবযানী সহজে ছাড়বার পাত্রী নন তা বুঝতে বাকি নেই কারও।
এখন কোথাকার জল কত দূর গড়ায় সেটাই দেখার।
এদিকে, আবার পরিচালক তথাগত বন্দ্যোপাধ্যায় আর বিবৃতির সম্পর্ক নিয়ে গসিপ এখনও শেষ হয়নি সেই সঙ্গে শেষ হয়নি দেবলীনা-তথাগত কিসসাও। দেবলীনার মনে দগদগে ঘা যা মিডিয়াতে বলা তাঁর বিভিন্ন কথাতেই প্রমাণিত। দেবলীনা যে তথাগতর থেকে দূরে সরতে চাননি সেটাও বেশ স্পষ্ট ছিল এতদিন কিন্তু এর মাঝেই এল কাহানিমে ট্যুইস্ট। তথাগত বিবৃতির প্রেমচর্চার মাঝে দেবলীনা কি কাউকে মন দিলেন? সম্প্রতি তেমনই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। অভিনেতা সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নাকি তিনি প্রেম করছেন।
যদিও দেবলীনা এবং সৌম্য দু’জনেই বেশ মিষ্টি হেসে তাঁদের পারস্পরিক সম মানসিকতার, বন্ধুত্বের সম্পর্ককে সিলমোহর দিয়েছেন। ভাল বন্ধু কথাটা বলিউড, টলিউডে বেশ প্রচলিত সেই পরম বন্ধুই যে কখন অতি-পরম প্রিয় হয়ে উঠবে তা শুধু এখন সময়ের অপেক্ষা।
সেলিব্রিটিদের আবার সাতখুন কখন-সখনও মাফ হয়ে যায়। কারণ সদ্য ব্যাট দিয়ে বউ পেটানোর অভিযোগ ঘাড়ে নিয়ে ৫৯ বছর বয়সে দিব্যি বিয়ের পিঁড়িতে বসে পড়লেন সৌরভ গঙ্গ্যোপাধ্যায়ের দাদা স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সের চার্জ সেই অপবাদ নিয়েই দিব্যি বর সাজলেন তিনি। যাঁকে বিয়ে করলেন তিনিও আবার বিবাহবিচ্ছিন্না। স্নেহাশিসের সঙ্গে পাত্রীর সম্পর্কটা নাকি বহুদিনের। বিয়ে ভাঙলেও, সামাজিক মাধ্যম থেকে এখনও প্রাক্তন স্বামীর পদবি মুছে ফেলেননি মোম গঙ্গোপাধ্যায়। এই মোমই নাকি ৪৯৮ ধারায় স্বামী স্নেহাশিসের বিরুদ্ধে মামলা রজু করেছিলেন। তাতে মারধর, যৌননির্যাতন, পরকীয়ার অভিযোগও ছিল। যদিও সেইসব আইনি মারপ্যাঁচ কাটিয়ে আবার নতুন ইনিংস শুরু করলেন স্নেহাশিস।
টলিউডে সম্পর্ক ভাঙার জোয়ার এসেছিল কিছু বছর আগেই, সেই তালিকায় রয়েছেন আবার স্বয়ং ফেলুদাও। ২০২২ থেকেই ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত এবং বরখা বিস্তের সম্পর্ক ভাঙার গুঞ্জন। ইতিমধ্যেই অফিসিয়ালি ডিভোর্সের পথে হেঁটেছেন তাঁরা। একটি কন্যাও রয়েছে তাঁদের। ১৩ বছরে সম্পর্কের ভাঙনের নেপথ্যে সেই তৃতীয় নারীই। সেই নারীর নাম নাকি ঈশা সাহা। যদিও সেটা নিয়ে মুখ খোলেননি ইন্দ্রনীল-বরখা কেউই। ফলে প্রমাণ নেই কিছুরই। মুখে কুলুপ এঁটেই নিজেদের মতো করে এগিয়ে চলেছেন দু’জনে।
বিবাহবিচ্ছেদের ট্রেন্ডিংয়ে বলিউড কোনওদিনই পিছিয়ে ছিল না। আমির খান এবং রিনা, সেইফ অমৃতা, আরবাজ আর মালাইকা। সবটাই সবার জানা কিন্তু সম্প্রতি ঐশ্বর্য আর অভিষেকের বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই তোলপাড় বলিউড। পাওয়ার কাপলদের বিয়ে ভাঙলে খবর হওয়াই স্বাভাবিক। ঐশ্বর্যর কন্যা আরাধ্যাকে ইদানীং সবর্ত্র শুধু তাঁর মায়ের সঙ্গেই দেখা যাচ্ছিল। অভিষেক কেমন যেন ছাড়াছাড়া। শাশুড়ি জয়ার সঙ্গে ঐশ্বর্যর সম্পর্ক যে ভাল নয় তা জানতে কারও বাকি নেই। সম্প্রতি আম্বানিদের বিয়েতেও একাই দেখা গেছিল ঐশ্বর্য-আরাধ্যাকে। বচ্চন পরিবারও এসেছিলেন কিন্তু আলাদা। একটু লক্ষ্য করলেই ধরা পড়ে সেলেবদের সম্পর্কের ফাঁকফোকর। অনেক জল্পনা-কল্পনা, অনেক গুঞ্জনের শেষে অভিষেক নিজেই জানিয়েছেন তাঁদের বিচ্ছেদের খবরটা সোশ্যাল মিডিয়াতে। কিছুদিন আগেই ভাইরাল হয়েছে অভিষেকের সেই ভিডিও। যদি সেই ভিডিওর সত্যতার এখনও যাচাই হয়নি।
আরও পড়ুন-সন্দীপ ঘোষকে জেরা
এদিকে, আবার বিবাহবিচ্ছেদের কড়চা ঢুকে পড়েছে ক্রিকেটারদের ঘরে। আর বুঝি রক্ষা পেল না ক্রীড়াজগৎ! বিচ্ছেদ বদনাম খুব একটা শোনা যেত না এদেশের খেলাধুলোর মানুষদের। বরং শচীন, সৌরভ, বিরাট, ধোনির পাওয়ার কাপলদের বৈবাহিক সম্পর্ক যেন রূপকথার লাভস্টোরি। সৌরভ কিছু বিতর্কে থেকেছেন কখনও-সখনও কিন্তু তা ধোপে টেকেনি। ডোনাকে নিয়েই দাদার সুখের সংসার। কিন্তু কৌলীন্য রক্ষা হল না।
মাসখানেক আগেই সর্বসমক্ষে হার্দিক পাণ্ডিয়া ও নাতাশা স্ত্যাঙ্কোভিচ একসঙ্গে ফলাও করে বিবাহবিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেছিলেন। হার্দিকের সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক ছিল না নাতাশার। যদিও ঠিক কী কারণে দু’জনের ডিভোর্স সেই নিয়ে বেশ জল্পনা রয়েছে। বিচ্ছেদের আগেই নাতাশা ছেলে অগ্যস্তকে নিয়ে সার্বিয়ায় ফিরে গিয়েছেন। সেখানেই ছেলের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন তিনি। আবার এমন কিছু পোস্ট তিনি করেছেন তিনি যা দেখলে বেশ বোঝা যায় না-পেরেই বেরিয়ে এসেছেন তিনি। ইমোশনাল অত্যাচারেই কি এই টক্সিক সম্পর্ক ছাড়লেন নাতাশা! নাকি প্রতারণাই এই ডিভোর্সের কারণ? নাতাশাকে লুকিয়ে জোরকদমে পরকীয়ায় মেতেছিলেন হার্দিক? প্রশ্নের উত্তর বেশ ধোঁয়াশাই।
গত দু’বছর ধরে টলিপাড়ায় ডিভোর্স আর ব্রেক আপের তালিকায় নবনীতা-জিতু কমল, রণজয়-সোহিনী, সৌপ্তিক-রণিতা, কাঞ্চন-পিঙ্কি, শোভন-স্বস্তিকা থেকে শুরু করে রয়েছেন অনেকেই। বলিউড বা টলিউডে বিচ্ছেদ নতুন কিছু নয় তবে ২০২৪-এ যেন তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। জল্পনার শেষে ‘কী হয়, কী হয়, কী জানি কী হয়’ প্রশ্নটাই সকলের মনে।