প্রতিবেদন : আন্দোলন এখনই থামবে না। সংসদে কৃষি আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। তারপরই আন্দোলন প্রত্যাহারের প্রশ্ন। কৃষকদের অন্যান্য সমস্যার পাশাপাশি ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন। কৃষকদের আন্দোলনের শক্তি কতটা, এবার বুঝতে পেরেছে সরকার।
দেশের কৃষকরা সত্যাগ্রহের মাধ্যমে দাম্ভিকতাকে হারিয়ে দিয়েছেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে এই জয়। আমি শুভেচ্ছা জানালাম। সরকার কৃষক বিরোধী আইন প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হবে বলে আমি আগেই বলেছিলাম। আজ তা বাস্তব হয়েছে। সরকারের ঔদ্ধত্য পর্যুদস্ত হয়েছে। জয় হিন্দ।
কৃষক আন্দোলনে কয়েকশো কৃষক প্রাণ হারিয়েছেন। আইন বাতিলের ঘোষণা আরও আগে হলে এইসব কৃষককে অকালে প্রাণ হারাতে হত না। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্যকে হারানোয় বহু কৃষক পরিবার পথে বসেছে। নরেন্দ্র মোদির উচিত এই সব অসহায় কৃষক পরিবারের দায়িত্ব নেওয়া। কারণ, তাঁর সরকারের হঠকারিতার জন্যই এটা হয়েছে। আগামী দিনে গোটা দেশের মানুষ ১৯ নভেম্বর দিনটি স্বাধীনতা দিবস, প্রজাতন্ত্র দিবসের মতোই চিরকাল স্মরণ করবে। এটা সমগ্র দেশবাসীর জয়।
আরও পড়ুন : ‘রাজনৈতিক চাপেই প্রত্যাহার’
গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পথে যা পাওয়া যায় না, তা পাওয়া যায় নির্বাচনের ভয়ে। নির্বাচনে ভরাডুবির হাত থেকে বাঁচতেই নরেন্দ্র মোদি সরকার তিন কৃষি আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত এক বছরে আন্দোলন করতে গিয়ে ৭০০-রও বেশি কৃষক মারা গিয়েছেন। মোদির উচিত, মৃতদের পরিবারের কাছে করজোড়ে ক্ষমা চাওয়া। সরকারের সিদ্ধান্তে নরেন্দ্র মোদির ঔদ্ধত্যের পরাজয় ঘটেছে।
দারুণ খবর। সব পাঞ্জাবির দাবি মেনে গুরু নানক জয়ন্তীর দিনেই তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদিকে অনেক ধন্যবাদ। আমি নিশ্চিত যে, কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যাবে।