প্যারিস, ১৬ অগাস্ট : বাড়তি ওজন কমানোর জন্য ফাইনালের আগের দিন রাতভর অমানুষিক পরিশ্রম করেছিলেন বিনেশ ফোগট। ভারতীয় কুস্তিগিরের এই পরিশ্রম দেখে একটা সময় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন বিনেশের হাঙ্গেরিয়ান কোচ ওলার আকোস। তাঁর মনে হয়েছিল, এভাবে চলতে থাকলে মৃত্যুকেও আটকানো যাবে না। ফেসবুক পোস্টে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন বিনেশের কোচ। পরে তিনি কোনও অজ্ঞাত কারণে পোস্ট মুছে ফেললেও আকোসের মন্তব্যে আলোড়ন পড়ে যায়।
আরও পড়ুন-কাল ডুরান্ড ডার্বি, টিকিট শেষ, চাহিদা তুঙ্গে
বিনেশের কোচ ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘‘সেমিফাইনালের পর ২.৭ কেজি ওজন বেড়ে যায় বিনেশের। এক ঘণ্টা কুড়ি মিনিট ধরে টানা শারীরিক কসরত করেও দেড় কেজি ওজন বেশি ছিল। ৫০ মিনিট সওনা বাথ নেওয়ার পরও বাড়তি ওজন কমেনি। আর কোনও উপায় ছিল না। রাত পেরিয়ে ভোর সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত বিভিন্ন কার্ডিও মেশিনে নিজেকে তৈরি করার চেষ্টা করেছে। পাশাপাশি কুস্তির বিভিন্ন প্যাঁচ, মুভ নিয়েও ওয়ার্ক আউট চালিয়ে গিয়েছে। প্রতি ঘণ্টায় মাত্র দু-তিন মিনিট করে বিশ্রাম নিয়েছে। রাতভর এমন অমানুষিক পরিশ্রমের পর একবার অচৈতন্য হয়ে যায়। কোনওভাবে ওকে তুলে ফের সওনায় বসানো হয়। আমি ইচ্ছাকৃতভাবে নাটকীয় বিবরণ দিচ্ছি না। কিন্তু ওই রাতে আমার মনে হয়েছিল, এভাবে চললে ওর মৃত্যু হতে পারে।’’
আকোসা সেই রাতের ঘটনার বর্ণনা দেওয়ার সময় জানিয়েছেন, বিনেশ তাঁকে বলেছিলেন, ‘‘বিশ্বের সেরা মহিলা কুস্তিগিরকে (জাপানের ইউই সুসাকি) হারিয়েছি। প্রমাণ করেছি, আমি বিশ্বের সেরাদের একজন। পদক, পোডিয়াম কেবল উপলক্ষ। পারফরম্যান্স কেড়ে নেওয়া যায় না।’’
আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে তাঁর আবেদন খারিজ হওয়ার পর মুখ খুলেছেন বিনেশ। সমাজমাধ্যমে লেখেন, ‘‘আমি হারিনি, নিয়ম জিতে গিয়েছে।’’ বিনেশের পোস্টের নিচে মনিকা বাত্রা লিখেছেন, ‘‘তুমি কিছুই হারাওনি। তুমি আমাদের চ্যাম্পিয়ন।’’