প্রতিবেদন : চেষ্টা করা হয়েছিল ধামাচাপা দেওয়ার। কিন্তু শেষপর্যন্ত তা সম্ভব হল না। যোগীরাজ্যে আরও এক নৃশংস নারকীয় ঘটনা বেআব্রু হয়ে গেল। কয়েকমাস চিকিৎসার পরে মৃত্যু হল ধর্ষিতা এক স্কুলছাত্রীর। আশ্চর্যের বিষয়, তার ক্রীড়াশিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করার ৭ মাস পরেও তাকে গ্রেফতার করেনি যোগীর পুলিশ। এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঝড় উঠেছে প্রতিবাদের। আঙুল উঠেছে যোগীর অপদার্থ প্রশাসনের দিকে।
সোনভদ্রের ঘটনা। গত ৩০ ডিসেম্বর একটি ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল ১৪ বছরের এক স্কুলছাত্রী। প্রতিযোগিতার পরে নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে ওই ক্রীড়াশিক্ষক। লোকলজ্জায় পুরো ঘটনাটা গোপন রেখেছিল নাবালিকাটি। বাড়িতেও কিছু জানায়নি সে। কিন্তু ভেতরে ভেতরে রীতিমতো অসুস্থবোধ করে সে। অবনতি হয় শারীরিক অবস্থার। ছত্তিশগড়ের এক আত্মীয়ের বাড়িতে তাঁকে রেখে আসেন পরিবারের লোকেরা। চিকিৎসা শুরু হয় সেখানে। কিন্তু সুস্থতার কোনও লক্ষণই নেই। শেষপর্যন্ত কাকিমাকে সবকিছু খুলে বলে নির্যাতিতা। বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটির হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। ক্রীড়াশিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয় থানায়। কিন্তু কয়েক মাসের টানা চিকিৎসাতেও বাঁচানো গেল না ধর্ষিতা কিশোরীটিকে। মঙ্গলবার মৃত্যু হল তার। গ্রেফতার করা হল না অভিযুক্ত শিক্ষককেও। তাকে কি আড়াল করার চেষ্টা করছে যোগীপ্রশাসন? নেপথ্যে কি কোনও প্রভাবশালীর হাত?
আরও পড়ুন- আরজি কর ভাঙচুর-কাণ্ড: তলব মীনাক্ষী-সহ ৭ বাম ছাত্র-যুব নেতাকে