আর্থিকা দত্ত, জলপাইগুড়ি: পটলচিংড়ি থেকে শুরু করে চিতলমাছের মুইঠা— পাঁচ রকমের মাছের পদ ভোগ হিসেবে নিবেদন করা হল মনসাদেবীকে৷ জলপাইগুড়ির বৈকুণ্ঠপুর রাজবাড়িতে এই আমিষ ভোগ দেওয়ার রীতি চলে আসছে ৫১৫ বছর ধরে৷ আজও দেবীকে ভোগে নিবেদন করা হয় বোয়াল, ইলিশ, চিংড়ি, চিতল ও কাতলা মাছ৷ শনিবার থেকে মনসাপুজোর মেলা শুরু হয়েছে। চলবে ছয়দিন। জলপাইগুড়ির রাজবাড়ির এই মনসাপুজো ১৫০৯ সালে শুরু হয়।
আরও পড়ুন-আঠাশে টিএমসিপির জমায়েত কাঁথি, খেজুরি, মুগবেড়িয়া কলেজে প্রস্তুতিসভা
পুরোহিত শিবু ঘোষাল জানান, মনসাদেবীর মূর্তি গড়ে স্থায়ী মণ্ডপে হয় পুজো৷ মনসার সঙ্গে মা পদ্মা, জরুৎকারু মুনি, বেহুলা-লখিন্দর, গদা ও গদানির বিগ্রহ থাকে৷ পুজোর পাশাপাশি আজ থেকে শুরু হল বিষহরি গানের আসর৷ বৈকুণ্ঠপুর রাজ পরিবারের সদস্য প্রণত বসু বলেন, এখানে মনসাপুজো দু’রকমভাবে হয়। একটি নিত্য পুজো, আরেকটি বাৎসরিক পুজো৷ এটা বাৎসরিক পুজো। রাজা নেই, রাজবাড়ির মনসাপুজোর নিয়মনিষ্ঠা একই রয়েছে৷ রাজ পরিবারের সদস্যরা প্রতিমাকে বরণ করেন৷ এরপর ভক্তরা অঞ্জলি দেন৷ প্রতি বছর পুজোকে কেন্দ্র করে রাজবাড়ি চত্বর জুড়ে মেলা বসে৷ দূরদূরান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ আসেন পুজো দিতে৷ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি অসম, বিহার থেকেও অনেকে আসেন এই পুজো দেখতে৷