প্রতিবেদন : মণিপুরে যা করেছে বিজেপি এবার একই কাণ্ড করল নন্দীগ্রামে। গদ্দারের এলাকায় তৃণমূল করার অপরাধে মহিলাকে নগ্ন করে দৌড় করাল। আতঙ্কে দিশাহারা মহিলা ৩০০ মিটারেরও বেশি দৌড়ে বাঁচার চেষ্টা করেন। তবুও পিছু ছাড়েনি বিজেপির হামলাকারীরা। নারকীয় এই ঘটনা ঘটেছে ১৫ অগাস্টের গভীর রাতে—স্বাধীনতা দিবসের দিনেই। ঘটনা ও পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আজ, রবিবার নেত্রীর নির্দেশে নন্দীগ্রামে যাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের ৮ জনের প্রতিনিধি দল। দলে রয়েছেন, বীরবাহা হাঁসদা, দোলা সেন, উত্তরা সিং, শিউলি সাহা, মমতাবালা ঠাকুর, সায়নী ঘোষ, দেবাংশু ভট্টাচার্য ও কুণাল ঘোষ।
আরও পড়ুন-ইন্দিরা গান্ধীর পরিণতি যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়…! মুখ্যমন্ত্রীকে খুনের হুমকি
স্বাধীনতা দিবসের রাতে গোকুলনগরে ওই মহিলার বাড়ির দরজা ভেঙে হামলা চালায় ২০-৩০ জনের বিজেপি গুন্ডাদের একটি দল। সেখানেই তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা হয়। সম্ভব না হওয়ায় তাঁকে তাড়া করে নিয়ে যাওয়া হয়। আতঙ্কে প্রাণভয়ে নগ্ন অবস্থায় দৌড়তে থাকেন ওই গৃহবধূ। কোনক্রমে প্রাণে বেঁচেছেন তিনি। তাঁর স্বামী এই মর্মে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন শনিবার। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল করার অপরাধে দীর্ঘদিন ধরেই তাঁদের শাসানো হচ্ছিল। এর আগেও ওই মহিলাকে উত্ত্যক্ত করেছে বিজেপির গুন্ডারা। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে বিজেপির বুথ সভাপতি। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত সাতজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন ওই মহিলার স্বামী। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে জেলার পুলিশকর্তারা তদন্তে নেমেছেন। অভিযোগ, ওই রাতে মহিলাকে শুধু ধর্ষণের চেষ্টা করেই ক্ষান্ত থাকেনি, বাড়িতেও লুটপাট চালানো হয়েছে। লুট হয়েছে টাকা-পয়সা এবং মোবাইল। এই ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কে রয়েছে গোটা পরিবার। আরজি করের ঘটনায় রাজনীতি করতে পথে নামা বঙ্গ-বিজেপির ম্যানেজাররা কী বলবে? কেন গ্রেফতার করা হবে না গদ্দারকে? এই প্রশ্নও উঠছে। মূলত তারই মদতে নন্দীগ্রামকে আতঙ্ক গ্রামে পরিণত করেছে বিজেপি। এর আগেও একাধিকবার হামলার ঘটনা ঘটেছে তৃণমূলের উপর। এবার একেবারে ধর্ষণের চেষ্টা এবং নগ্ন করে গৃহবধূকে দৌড় করানোর মতো ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটাল বিজেপির গুন্ডারা।