প্রতিবেদন : আসন্ন উৎসবের মরশুমে ফের যাতে শাক-সবজির দাম অস্বাভাবিক বেড়ে না যায় রাজ্য সরকার সেদিকে কড়া নজর রাখছে। এজন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা তৈরি করা হবে বলে রাজ্যের কৃষি বিপণন দফতর সূত্রে জানা গেছে। বাজারে শাক-সবজির জোগান স্বাভাবিক রাখা এবং কালোবাজারি বন্ধ করা যার মধ্যে অন্যতম। রাতের কৃষি বিপণনমন্ত্রী বেচারাম মান্না জানিয়েছেন, অনাবৃষ্টির কারণে উৎপাদন কম হওয়ায় সবজির দাম মাসখানেক আগে বেড়ে গিয়েছিল। এখন সেই দাম ৪০ শতাংশ কমেছে। সাধারণ মানুষ যাতে তাঁদের সাধ্যের মধ্যে সবজি কিনতে পারেন তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। বর্তমানে বাজারে আলুর দাম ৩০ থেকে ৩২ টাকার আশপাশে দাঁড়িয়েছে। তা আরও কিছুটা কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। কৃষি বিপণনমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে সুফল বাংলার ৪৯৩টি স্থায়ী এবং ১২৫টি অস্থায়ী কাউন্টার রয়েছে। সেখানে ২৮ টাকা কেজি দরে জ্যোতি আলু বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া কম দামে মানুষকে আলু পৌঁছে দিতে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে আলু বিক্রির পরিকল্পনাকেও কার্যকর করা হচ্ছে। উৎসবের মরশুমে বাড়তি চাহিদার সুযোগ নিয়ে মধ্যস্বত্বভূমি ও কালোবাজারিরা যাতে সক্রিয় না হয়ে ওঠে সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। সামনে উৎসবের মরশুম। সেই দিকে তাকিয়ে খোলাবাজারে কেজি প্রতি আলুর দাম ৩০ টাকার নীচে নামাতে তৎপর রাজ্যের কৃষি বিপণন দফতর। দফতরের দাবি, গত এক মাসে সবজির যে দাম ছিল, তার থেকে অনেকটাই এখন কমেছে। এবার লক্ষ্য, উৎসব মরশুমের আগেই সবজির দামকে সাধারণ মানুষের নাগালে নিয়ে আসা। রাজ্যের কৃষি বিপণন দফতরের দাবি, রাজ্যে যখন ৩০ টাকার আশপাশে আলুর দাম বেঁধে রাখা গিয়েছে, তখন বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে কেজি প্রতি আলুর দাম অনেকটাই বেশি। পরিসংখ্যান বলছে, উত্তরপ্রদেশে প্রায় ৩৪ টাকা, অসমে ৩৮ টাকা, মধ্যপ্রদেশে ৩৪ টাকা, মহারাষ্ট্রে ৪০ টাকা দরে আলু বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন-অসমে ছাত্রীদের ক্লাসরুমে অশ্লীল ছবি ও ভিডিয়ো প্রদর্শন শিক্ষকের
সুফল বাংলার কাউন্টারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে। সেখানে খোলাবাজারে পেঁয়াজের দাম ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, কোথাও কোথাও ৫৫ টাকাতেও বিকোচ্ছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম কমবে বলে দাবি কৃষি বিপণনমন্ত্রীর। বর্তমানে কাঁচা লঙ্কার দাম কিছুটা বেশি। দেখা যাচ্ছে, ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে কাঁচালঙ্কা। সুফল বাংলার স্টলে অবশ্য তা মিলছে ৯৫ টাকায়। কাঁচালঙ্কার দামও কমানোর উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য।