প্রতিবেদন : দেশে ফিরে দিল্লি বিমানবন্দর থেকে হরিয়ানার বালালিতে গ্রামের বাড়ি পর্যন্ত দীর্ঘ যাত্রাপথে অন্তত ২০টি সংবর্ধনা নিতে হয়েছে বিনেশ ফোগটকে। শনিবার মাঝরাতে ঘরের মেয়েকে কাছে পাওয়ার পর যেন অলিম্পিকে পদক না পাওয়ার হতাশা ভুলেছেন গ্রামবাসীরা। মানুষের ভালবাসায় ভেসে গিয়ে আবেগরুদ্ধ বিনেশ জানিয়ে দিলেন, তিনি কিছু সাহস পেলেন। অবসরের সিদ্ধান্ত বদলে ফিরতে পারেন কুস্তিতে।
আরও পড়ুন-ভুলিনিকো আমি ভুলোনাকো তুমি, ভোলেনিকো জাতি, কিভাবে যৌবন মরেছে অকালে, কিভাবে কেটেছে রাতি…
বালালির গ্রামের বাড়িতে ফিরে বিনেশ বলেছেন, ‘‘অলিম্পিক পদক হাতছাড়া হওয়াটা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ক্ষত। জানি না, এই যন্ত্রণার ক্ষতে প্রলেপ পড়তে কতদিন লাগবে। কিন্তু দেশবাসী, গ্রামের মানুষ, পরিবার, বন্ধু, শুভানুধ্যায়ীদের কাছ থেকে পাওয়া ভালবাসা আমাকে কিছুটা সাহস দিল, যা এই যন্ত্রণা উপশমে সাহায্য করবে। আমি কুস্তিতে ফিরেও আসতে পারি। তবু জানি না, সেটা সম্ভব কি না! এই সাহসকেই আমি সঠিক পথে ব্যবহার করতে চাই। আমাদের লড়াই শেষ হয়নি। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি যে সত্যের জয় হবেই। আমি ভাগ্যবান যে, এই গ্রামে জন্মেছি। এই গ্রাম এবং মহিলাদের সম্মানের জন্য আমার লড়াই চলবে।’’
আরও পড়ুন-কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্যই বলছে ভারতে ধর্ষণের ঘটনার শীর্ষে থাকা রাজ্যগুলির ক্ষমতায় বিজেপি
বিনেশ-বরণের মধ্যেই ফোগট পরিবারের কোন্দল সামনে এসেছে। বিনেশ সকলকে ধন্যবাদ দিয়ে দীর্ঘ একটি পোস্ট করেছিলেন। সেখানে কাকা মহাবীর ফোগটের নাম উল্লেখ করেননি প্যারিসে পদক হাতছাড়া করা তারকা কুস্তিগির। তা নিয়েই ফোগট পরিবারে কোন্দল। বিনেশের দুই খুড়তুতো বোন গীতা ও ববিতা ফোগট ক্ষুব্ধ। গীতার স্বামী পবন সারোহা সমাজমাধ্যমে ক্ষোভ উগরে দিয়ে লেখেন, ‘‘বিনেশ তুমি খুব ভাল লিখেছ। কিন্তু নিজের কাকা মহাবীর ফোগটকে হয়তো ভুলে গিয়েছ। অথচ তাঁর হাতেই তোমার কুস্তিজীবন শুরু হয়েছিল। ঈশ্বর তোমাকে শুভবুদ্ধি দিন।’’ ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করে গীতা লেখেন, ‘‘কর্মের ফল খুব সোজা। ছলনা করলে তার ফল পেতেই হবে।’’