প্রতিবেদন : চলতি মাসে পর্যাপ্ত বৃষ্টি হয়েছে। ফলে কেটে গিয়েছে আশঙ্কার কালো মেঘ। বৃষ্টির ঘাটতিতে ধান চাষ নিয়ে সমস্যায় পড়েছিলেন কৃষকরা। কিন্তু অগাস্টের বৃষ্টি কৃষকদের চিন্তা দূর করে দিল। কৃষি দফতর সূত্রে পরিসংখ্যান দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৩৯ লক্ষ হেক্টর জমিতে ধানের চারা রোপণ করা সম্ভব হয়েছে। বৃষ্টির ঘাটতি মিটে যাওয়ায় আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে তা বেড়ে ৪১ লক্ষ হেক্টর জমিতে ধান চাষ সম্পূর্ণ হবে।
কৃষি দফতর আরও জানিয়েছে, এর আগে শেষ বার ২০২১-২২ অর্থবছরে এই পরিমাণ জমিতে ধানের চারা রোপণ করা সম্ভব হয়েছিল। তারপর এ বছরও ৪১ লক্ষ একর জমির আঁকড়া ছুঁল ধানচাষ। এই পরিস্থিতিতে আগামী খরিফ মরশুমে চাষের জন্য সারের জোগান নিয়মিত রাখতে কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় তা নিয়ে কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বৈঠকে বসবেন। আগামী মঙ্গলবার নবান্নে দফতরের সচিব ওঙ্কার সিং মিনা, জেলা কৃষি উন্নয়ন আধিকারিক এবং বিভিন্ন সার উৎপাদনকারী সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে করবেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন-বাজারে সঙ্কট তৈরি করে ফের কর্মবিরতির পথে আলু-ব্যবসায়ীরা
জুলাই মাসের শেষপর্যন্তও দক্ষিণবঙ্গে ধান চাষের প্রয়োজনীয় বৃষ্টির ঘাটতি ছিল। পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে তৈরি হয়েছিল আশঙ্কার কালো মেঘ। কিন্তু অগাস্টে বৃষ্টি ধানের চারা রোপণের অনুকূল মাত্রায় পৌঁছে গিয়েছে। ফলে বিগত দু’বছরে যে মাত্রায় ধান চাষ পৌঁছয়নি, এবার খরিফ মরশুমে সেটাই হতে চলেছে। গত দুই অর্থবর্ষে দুই থেকে চার লক্ষ হেক্টর জমিতে ধানের চারা রোপণ সম্ভব হয়নি। এবছর সেইসব জমিতে ধান রোপণ হতে চলেছে। আগামী ২০ আগস্টের মধ্যে ৪১ লক্ষ হেক্টরের বেশি জমিতে ধানের চারা রোপণ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। উল্লেখ্য, ধান উৎপাদনের ভারতবর্ষ পশ্চিমবঙ্গের উপর নির্ভরশীল। ফলে ধান উৎপাদনে ঘাটতি হলে শুধু রাজ্য নয়, তা দেশের খাদ্যশস্যে প্রভাব ফেলবে। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটত ছিল, তা মিটে গিয়েছে অগাস্টে। পুরুলিয়া, বীরভূমেও ৯০ শতাংশ জমিতে ধানচাষ হয়ে গিয়েছে। কৃষি দফতর মনে করছে এবার ১৭৬ থেকে ১৮০ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হতে চলেছে।