প্রতিবেদন: বিজেপির শাসনকালে দুই চিত্র। একদিকে দেশের প্রথম সারির, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জিএসটি পরিশোধের নোটিশ পাঠানো হচ্ছে, অন্যদিকে বিতর্কিত ব্যক্তিগত গবেষণা প্রতিষ্ঠানের আয়কর মকুব করা হচ্ছে! কেন্দ্রের মোদি-শাহের সময়কালে এটাই হল ‘নিউ নর্ম্যাল’। গত সপ্তাহে দিল্লি আইআইটিকে ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স (জিএসটি) ইন্টেলিজেন্স থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ধরানো হয়েছে। নোটিশে ২০১৭ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে অর্জিত গবেষণা তহবিলের উপর জিএসটি বাবদ ১২০ কোটি টাকা দাবি করা হয়েছে। সেইসঙ্গে যুক্ত হয়েছে সুদ এবং জরিমানার অর্থ। নোটিশটি দিল্লি আইআইটিকে পাঠিয়ে ৩০ দিনের সময় দিয়ে জানতে চাওয়া হয়, জিএসটি বাবদ অর্থ, সুদ এবং জরিমানা কেন অনাদায়ী থাকবে তার ব্যাখ্যা দিতে হবে।
আরও পড়ুন-১,৫৩০ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ শেষ করেছে রাজ্য, বরাদ্দ খরচে দেশে দু’নম্বরে বাংলা
জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, আইআইটি এবং রাজ্য-চালিত ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়-সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও জিএসটি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুরূপ বিজ্ঞপ্তি পেয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আইআইটির এক অধ্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, আইআইটির মতো দেশের প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর বিপুল পরিমাণে জিএসটি চাপানো হচ্ছে, অথচ পতঞ্জলি রিসার্চ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট এর মতো ব্যক্তিগত ধর্মনির্ভর সংস্থাকে আয়কর ছাড় দেওয়া হচ্ছে! উল্লেখ্য, আয়কর বিভাগ বিজেপি ঘনিষ্ঠ স্বঘোষিত ধর্মগুরু রামদেবের পতঞ্জলি রিসার্চ ফাউন্ডেশন ট্রাস্টকে ‘রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশন’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে পাঁচ বছরের কর ছাড় দিয়েছে। ২০২১ সালের ১২ জুলাই সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডাইরেক্ট ট্যাক্সেস এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ঘোষণা করেছিল, কেন্দ্রীয় সরকার পতঞ্জলি রিসার্চ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট, হরিদ্বারকে ‘সায়েন্টিফিক রিসার্চের’ জন্য রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। সেইসঙ্গে আয়কর আইনের ৩৫(১)-এর (খ) ধারা এবং ট্যাক্স অ্যাক্ট, ১৯৬১ আয়কর বিধি, ১৯৬২-এর নিয়ম ৫ সি এবং ৫ ডি-র অধীনে পাঁচ বছরের জন্য আয়কর ছাড় অনুমোদন করেছে। বিজ্ঞপ্তিটি সরকারি গেজেট প্রকাশের তারিখ থেকে প্রযোজ্য হয়েছে এবং সেই অনুযায়ী মূল্যায়ন বছর ২০২২-২৩ থেকে ২০২৭-২৮-এর জন্য প্রযোজ্য।