নয়াদিল্লি, ১৯ অগাস্ট : টোকিওতে যেখানে সাতটি পদক পেয়েছিল ভারত, সেখানে প্যারিসে এসেছে ছ’টি পদক। টোকিওতে জ্যাভলিনে সোনা জিতেছিলেন নীরজ চোপড়া। প্যারিসে সেই সোনা গিয়েছে পাকিস্তানের আর্শাদ নাদিমের দখলে। নীরজকে রুপো নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে।
বলা হচ্ছে চার ভারতীয় প্রতিযোগী এবার চতুর্থস্থানে শেষ করেছেন। তাই কপাল ভাল থাকলে পদকের সংখ্যা বাড়ত। পরপর দুই অলিম্পিকে সোনা ও রুপো জয়ী অ্যাথলিট নীরজ প্যারিসে ভারতের পারফরম্যান্স নিয়ে নিজের মতামত জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, প্রতিভাকে তুলে আনতে হবে। নিজের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি জ্যাভলিন হাতে তুলে নিয়েছিলাম। কিন্তু জানতাম না কীভাবে ছুঁড়তে হয়। আমার ভাল লেগে গিয়েছিল তাই আঁকড়ে ধরেছিলাম। কিন্তু অনেক খেলার মধ্যে থেকে বিশেষজ্ঞরা যদি বেছে দেন যে এটা তোমার জন্য ঠিক, তাহলে ভারতীয় স্পোর্টস এগোতে পারে।
আরও পড়ুন-আর্থিক উন্নয়নের জন্য জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ জরুরি, বললেন নারায়ণ মূর্তি
পাশাপাশি, নীরজ এক্ষেত্রে কোচেদের দায়িত্বের কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন। যাদের কাজ হল প্রতিভাকে বিকশিত করা। নীরজ বলেছেন, শুধু একটা খেলার পিছনে পড়ে থাকলে হবে না। সব খেলাতেই আমাদের ভাল হতে হবে। চিন, জাপান, আমেরিকা অনেক পদক পায়, কারণ তারা সব খেলায় ভাল করে। নীরজ মনে করেন, খেলাধুলা একটা দেশের চেহারা বদলে দেয়। নিজের সম্পর্কে নীরজ বলেছেন, ৯০ মিটারের বাধা টপকাতে আর বেশি দিন লাগবে না। তাঁর কথায়, প্যারিসে আমি দূরত্ব বাড়াতে পারতাম। কোয়ালিফিকেশনে আমার দুটো থ্রো নো হয়েছে। ফাইনালেও তাই। ওগুলোই আমার মরশুমের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেরা থ্রো ছিল। চোটের জন্য আমি বাড়তি চেষ্টা করতে পারিনি। আমাকে চোট-মুক্ত হতে হবে।
নীরজের আরও ব্যাখ্যা, প্র্যাকটিসে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল থ্রোয়িং সেশন। যা তিনি ঠিকভাবে করতে পারেননি চোটের জন্য। নীরজের বক্তব্য, কেউ যদি নিয়মিত জ্যাভলিন ছুঁড়তে না পারে তাহলে টেকনিকের সমস্যা চলে আসবে। আমাকে এই থ্রো নিয়ে খাটতে হবে। বাকিসব ঠিকই আছে।