রাখি গরাই, বাঁকুড়া: প্রয়াত দেওকিনন্দন পোদ্দার ১৮ বছর আগে মাত্র আড়াইশো রাখি দিয়ে অনুশীলন সমিতির সঙ্গে বাঁকুড়া শহরে রাখিবন্ধন অনুষ্ঠান শুরু করেছিলেন। সেই প্রথা আজও বজায় রেখেছেন পোদ্দার পরিবারের সদস্যরা। রাখি উৎসবের বেশ কয়েক মাস আগে থেকেই পরিবারের লোকজনেরা রাখি বানানোর প্রস্তুতি নেন। সাধারণত যে সব জিনিস ফেলে দিই, সেই সব জিনিস জড়ো করেই তৈরি করা নানা ধরনের রাখি।
আরও পড়ুন-ব্যর্থ এমবাপে, ড্র রিয়াল মাদ্রিদের
পোদ্দার পরিবারের সদস্য দূর্গাপ্রসাদ জানান, যেগুলি আমরা ফেলে দিয়ে থাকি, যেমন খালি ওষুধের পাতা, নারকেল ছোবড়া, পেনের রিফিল— এসব দিয়েই আমরা রাখি তৈরি করি। সারা বছর এই সব ফেলা দেওয়া জিনিস জমিয়ে রাখি। রাখি উৎসবের ঠিক আগে এসব দিয়েই আমি এবং আমার স্ত্রী, ছেলেমেয়ে সবাই মিলে রাখি তৈরি করি। কেন এই ধরনের উদ্যোগ? দুর্গাপ্রসাদ বলেন, ১৮ বছর আগে বাবা প্রয়াত দেবকিনন্দন এই কাজ শুরু করেছিলেন অনুশীলন সমিতির সঙ্গে। প্রতি বছর এইভাবে রাখি তৈরী করে বাঁকুড়া শহরে সবাইকে পরিয়ে সম্প্রীতির বার্তা দেওয়া হত। বাবার দেখানো পথই আমরা অনুসরণ করার চেষ্টা করে চলেছি। এবছরও রাখিতে নানা সামাজিক বার্তা দেওয়ার ঐতিহ্য বজায় রাখা হয়েছে। যেমন— ‘একটি গাছ একটি প্রাণ’, ‘গাছ লাগান প্রাণ বাঁচান’, ‘রক্তদান মহান দান’ বা ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’।