প্রতিবেদন : লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ৬৩ শতাংশ ভাষণ ছিল ঘৃণা উদ্রেককারী। গত ১৬ মার্চ নির্বাচনী আচরণবিধি কার্যকর হওয়ার পর জনসভায় প্রধানমন্ত্রী মোদির দেওয়া ১৭৩টি বক্তব্য বিশ্লেষণ করে এমন তথ্য পাওয়া গিয়েছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের পক্ষ থেকে প্রকাশিত রিপোর্টে উঠে এসেছে এই তথ্য। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) জানিয়েছে, ১৭৩টির মধ্যে ১১০টি (৬৩ শতাংশ) ভাষণে মোদি ‘ইসলামভীতি’ নিয়ে মন্তব্য করেছেন। আর তিনি এই কাজ করেছেন রাজনৈতিক বিরোধিতাকে দুর্বল করার উদ্দেশ্যে।
আরও পড়ুন-দাম নিয়ন্ত্রণের শর্তে কাটল জট, নবান্নের বৈঠকে সিদ্ধান্ত, ভিন রাজ্যে আলু রফতানির অনুমোদন
এইচআরডব্লিউর প্রতিবেদনে বলা হয়, মোদি এমন কথা বলেছেন, যা শুনে মনে হয়, একমাত্র মুসলমান সমাজই আগামী দিনে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারবে। এই বক্তব্যের উদ্দেশ্য ছিল বিভ্রান্তিমূলক প্রচার চালিয়ে সংখ্যাগুরু হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করা। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার ৯ জুন থেকে নতুন মেয়াদ শুরু করেছে। তৃতীয়বারের এই মেয়াদ শুরুর আগে ভোটের প্রচারে প্রান্তিক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বৈষম্য, শত্রুতা ও সহিংসতাকে উসকে দেওয়া হয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ মনে করছে, ধারাবাহিকভাবে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব এই ধরনের ঘৃণা উদ্রেককারী মন্তব্য করার কারণে ভারতে মুসলমান ও খ্রিস্টান—এই দুই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনা বেড়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিজেপির নেতৃত্বাধীন বেশ কয়েকটি রাজ্যের সরকার যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়াই মুসলমানদের বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও উপাসনালয় ধ্বংস করেছে এবং এমন সব কাজ করেছে, যা বেআইনি। নির্বাচনের পর এই কার্যকলাপ অব্যাহত রয়েছে। ফলে সারা দেশে অন্তত ২৮টি হামলার খবর পাওয়া গিয়েছে। যার কারণে ১২ জন মুসলমান পুরুষ ও ১ জন খ্রিস্টান নারীর মৃত্যু হয়েছে।