ক্যানিং ও ভাটপাড়া: ভোটের পরেও পরিকল্পিত ভাবে খুনের রাজনীতি চালাচ্ছে বিজেপি। প্রতিদিন তৃণমূল নেতা-কর্মীদের খুনের ঘটনা উঠে আসছে খবরের শিরোনামে। কোথাও গুলি করে কোথাও কুপিয়ে নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে তৃণমূল কর্মীদের। এবার দুই ২৪ পরগণার তৃণমূল নেতার আক্রান্তের খবর মিলল।
জখম দুই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা হলেন ক্যানিংয়ের ধর্মতলা গ্রামের বাসিন্দা বাদল নস্কর এবং ভাটপাড়ার ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি চন্দন দাস। দু’জনকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এমনটাই অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা চলছে।
প্রথম ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগণার ভাটপাড়ার। তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে দুষ্কৃতীরা। গুরুতর জখম হন ভাটপাড়ার ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি চন্দন দাস। এই ঘটনার পিছনে বারাকপুরের বিজেপি সাংসদের হাত আছে বলে ভাটপাড়া বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান ধরমপাল গুপ্ত সরাসরি অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘চন্দন খুব সক্রিয় কর্মী। ওকে ঘিরে ওয়ার্ডে দলের প্রভাব বাড়ছে। তাই সরিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত করেছিল বিজেপি।’
হাসপাতালের বেডে শুয়ে আহত যুবনেতা অভযোগ করেন, আরবিসি মাঠ লাগোয়া নিজের বাড়ির পেছনের দিকে সোমবার রাতে চার বন্ধু কথা বলছিলাম। সেই সময়ই হামলা চালানো হয়। দিনকয়েক আগে আমাকে খুনের হুমকি-সহ হিন্দিতে অশ্লীল ভাষায় একটি চিঠি আসে। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলার কো-অর্ডিনেটর নারায়ণ গোস্বামী বলেন, ‘বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের নির্দেশেই দুষ্কৃতীরা এই কাজ করেছে। এলাকায় নিজের আধিপত্য কায়েম করতে অশান্তির খেলায় মেতেছে বিজেপি নেতারা।’
এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপি প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত। রাতেই ঘটনাস্থলে আসে ভাটপাড়া থানার পুলিশ। তদন্ত শুরু করেছে তারা। দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং-এর ধর্মতলা গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে খবর, বাজার করে ফেরার সময় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী বাদল নস্করের রাস্তা আটকায় কয়েকজন দুষ্কৃতী। এরপরই তাঁকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে দুষ্কৃতীরা বলে অভিযোগ। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে কোনওক্রমে বেঁচে যান তিনি। স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁর চিকিৎসা চলছে। দুটি ঘটনারই কিনারা করতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এলাকায় বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।