প্রতিবেদন : ডুরান্ড কাপে আর যুবভারতীতে খেলা হচ্ছে না ইস্টবেঙ্গলের। কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নিলেন ক্লেটন সিলভারা। ভরা গ্যালারির সামনে শিলংয়ের কৃত্রিম ঘাসের মাঠ বরাবরই কলকাতার দুই প্রধানের কাছে বড় কঠিন ঠাঁই। এদিন সেটা আরও একবার টের পেল ইস্টবেঙ্গল। শুরুতে পিছিয়ে পড়েও সমতা ফেরায় কার্লেস কুয়াদ্রাতের দল। তাতেও রক্ষণের ভুল আর গোলের সুযোগ নষ্টের খেসারত দিতে হল ইস্টবেঙ্গলকে। ১-২ গোলে হার মশালবাহিনীর।
লাজং ঘরের মাঠে সমর্থকদের সামনে তেড়েফুঁড়ে শুরু করেছিল। গা ঝাড়া দিয়ে ওঠার আগেই গোল হজম করে ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের ৮ মিনিটের মাথায় লাল-হলুদ রক্ষণের ভুলের সুযোগ নিয়ে গোল করে এগিয়ে যায় লাজং। হার্ডির কর্নার থেকে রুডওয়ার গোল করে লাজংকে এগিয়ে দেন।
আরও পড়ুন-আর্মির বিরুদ্ধে সতর্ক ডায়মন্ড হারবার
পিছিয়ে পড়েও গোলশোধের জন্য সেই পরিকল্পিত ফুটবল দেখা যায়নি ইস্টবেঙ্গলের খেলায়। আক্রমণে ছিল না সেই ঝাঁজ। তার মধ্যেই ১৮ মিনিটে মাদিহ তালালের একটি গোল অফসাইডের জন্য বাতিল হয়। প্রতি-আক্রমণে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পায় লাজং। কিন্তু বল পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। পাল্টা আক্রমণে গোলের সুযোগ পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গলও। কিন্তু ডেভিড লাললানসাঙ্গা ফাঁকা গোলে বল রাখতে পারেননি। ডেভিডের হেড ক্রসবারে লেগে বেরিয়ে যায়।
আরও পড়ুন-বাড়ল সিভিক ভলেন্টিয়ারদের পুজো বোনাস
দ্বিতীয়ার্ধেও লাজংয়ের দাপট অব্যাহত থাকে। ম্যাচে ফেরার আশায় পিভি বিষ্ণু ও ক্লেটন সিলভাকে নামিয়ে দেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। গোলের সুযোগও তৈরি হয়। শেষ পর্যন্ত ৭৮ মিনিটে ম্যাচে সমতা ফেরাতে সক্ষম হয় ইস্টবেঙ্গল। বিষ্ণুর ক্রস থেকে চলন্ত বলেই দুরন্ত ফিনিশ করেন নন্দকুমার। কিন্তু লাল-হলুদ সমর্থকদের মুখের হাসি দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৮৩ মিনিটের মাথায় রক্ষণের ভুলে দ্বিতীয় গোল হজম ইস্টবেঙ্গলের। লাজংয়ের পরিবর্ত ফুটবলার ফিগো গোল করে ইস্টবেঙ্গলের আশায় জল ঢেলে দেন। ম্যাচের বাকি সময়ে চেষ্টা করেও গোলশোধ করতে পারেননি নন্দ, দিয়ামনতাকোসরা।