প্রতিবেদন: যেভাবে আরজি কর-কাণ্ডের নির্যাতিতার নাম-পরিচয় সামনে এসেছে তা পুরোপুরি আইন বিরুদ্ধ, অনৈতিক, মঙ্গলবার নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়ে দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়৷ তাঁর এই কড়া অবস্থানের ২৪ ঘন্টার মধ্যে বাধ্য হয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে অবিলম্বে সোশাল মিডিয়া-সহ সব প্ল্যাটফর্ম থেকে আরজি কর-কাণ্ডের নির্যাতিতার নাম পরিচয় মুছে ফেলার নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় সরকার৷ বুধবার কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি এবং ইলেকট্রনিক্স মন্ত্রকের তরফে জারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে অবিলম্বে আরজির কান্ডের নির্যাতিতার নাম, পরিচয় এবং নির্যাতিতার ছবি ও যাবতীয় ভিডিও ক্লিপিংস মুছে ফেলতে হবে৷ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই এই নির্দেশিকা জারি করা হচ্ছে, জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় বিজ্ঞপ্তিতে৷ সরকারি নির্দেশ না মানলে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে, সাফ জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে৷
আরও পড়ুন-অন্ধ্রপ্রদেশে ওষুধের কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপের পরেই উঠছে প্রশ্ন, কেন সোশাল মিডিয়া-সহ সব প্ল্যাটফর্ম থেকে নির্যাতিতার নাম-পরিচয়-ছবি মুছে ফেলতে এত দেরি করল কেন্দ্রীয় সরকার৷ মঙ্গলবার এই মর্মেই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়৷ আরজি কর-কাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে দায়ের করা মামলার শুনানিতেই প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, ‘নিপীড়িতার নাম যেভাবে প্রকাশ হয়েছে, তা ঠিক নয়৷ ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ পেয়েছে যত্রতত্র। এটা খুবই উদ্বেগজনক৷ স্বাধীন দেশের নাগরিকদের বাক স্বাধীনতার বিষয়টি মাথায় রেখেও বলতে হবে, আমরা উদ্বিগ্ন৷’ নাম না করেই কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেছিলেন প্রধান বিচারপতি৷ এর পরে শীর্ষ আদালতের চাপে পড়েই শেষমেশ বুধবার সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করে নির্যাতিতার নাম-পরিচয় মুছে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার৷