ব্যুরো রিপোর্ট : সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি অব্যাহত। এরফলে নাকাল হতে হচ্ছে রোগীদের। যা অনভিপ্রেত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বারবার চিকিৎসকদের কাজে ফেরার কথা বলেছেন। আরজি করের নৃশংস ঘটনার তদন্ত চলছে। এক দোষী গ্রেফতার হয়েছে। সিবিআই তদন্ত চলছে। কিন্তু তার পরেও কাজে ফিরছেন না চিকিৎসকরা। কয়েকটি জায়গায় পরিষেবা স্বাভাবিক হলেও জেলার অধিকাংশ হাসপাতালেই পরিস্থিতি বেহাল। রোগীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকার পরেও কোনও পরিষেবা পাচ্ছে না। কোথাও আউটডোর বন্ধ রেখে জরুরি বিভাগ খোলা রাখলেও সেখানেও চিকিৎসকদের দেখা মিলছে অনেক পরে। রোগীকে ট্রলিতে শুয়ে অপেক্ষা করতে হচ্ছে পরিবারের সদস্যদের। এমনই ভোগান্তির ছবি উঠে আসছে। যা কাম্য নয়। জলপাইগুড়ি, রায়গঞ্জ আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এই জেলাগুলিতে জরুরি বিভাগ খোলা থাকলেও চিকিৎসকের সংখ্যা কম বলে জানাচ্ছেন রোগীরা।
আরও পড়ুন-নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বৈঠক শ্রীরামপুর হাসপাতালে, বসছে আরও সিসি ক্যামেরা
পাশাপাশি সব থেকে বেহাল অবস্থা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের। ওই মেডিক্যাল কলেজে বাংলাদেশ, নেপাল থেকেও বহু রোগী চিকিৎসা করাতে আসেন। তাঁদেরও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে হিপ জয়েন্টের সমস্যা নিয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা করতে এসে বিপাকে পড়েছে বাংলাদেশের এক নাগরিক। চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় চার-পাঁচ দিন ধরে নাকাল হতে হচ্ছে তাঁকে। উত্তরের পাশাপাশি বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানেরও বহু মানুষ নির্ভর করেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ওপর। চিকিৎসকরা কর্মবিরতির নামে কেন রোগীদের হয়রান করবেন? এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মনেও ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে। প্রশাসনের তরফেও চিকিৎসকদের কাজে ফেরার কথা বলা হচ্ছে।