অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার নিশ্চিত করতে কলকাতা জুড়ে জোরকদমে চলছে প্রস্তুতি। কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) হাতে এই মুহূর্তে আছে ‘বম্ব ব্ল্যাঙ্কেট’ (Bomb Blanket)। সন্দেহজনক কোনও বস্তু বা বোমা পাওয়া গেলে তার উপরে এটা চাপিয়ে দেওয়া হয়। সম্প্রতি বোমা পাওয়ার ঘটনা বা উড়ো ফোন আসা শহর থেকে জেলায় বেড়ে গিয়েছে। বোমাতঙ্কের ফোন বা ইমেল পেলেই সেখানে পুলিশকে মাঠে নামতে হয়। মানুষের সুরক্ষায় বোমা নিষ্ক্রিয় করার কাজও তাদের করতে হয়। এবার এই বোমা চিহ্নিত করতে বা নিষ্ক্রিয় করতে কোনও অঘটন যাতে না ঘটে তার জন্য চারটি ‘বম্ব ইনহিবিটর’ যন্ত্র কেনার পরিকল্পনা করেছে লালবাজারের বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড। ইতিমধ্যেই টেন্ডার বা দরপত্র ডাকা হয়েছে। সেখানে ওই চারটি ‘বম্ব ইনহিবিটর’ কেনার কথা বলা হয়েছে। খরচ আনুমানিক ৩৪ লক্ষ টাকা। জানা যাচ্ছে, দুর্গাপুজোর আগে হাতে চলে আসবে চারটি নতুন যন্ত্র।
আরও পড়ুন-মাঝ আকাশে এয়ার ইন্ডিয়ার উড়ান, এল বিমান ওড়ানোর হুমকি
এই মুহূর্তে এই ‘বম্ব ইনহিবিটর’ অত্যন্ত জরুরি। বিভিন্ন সময় খবর পাওয়ার পরে সেখানে গিয়ে বোমা পাওয়া যায়। এরপরেই পুলিশকে খবর দিতে হয় বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডকে। ততক্ষণে ঘটে যেতে পারে যেকোন রকম অঘটন। তাই পুলিশ এবার অপেক্ষা না করে নিজেই এই যন্ত্রের সাহায্যে বোমাকে নিষ্ক্রিয় করতে পারবে। কোথাও বোমা পাওয়া গেলে বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডকে সেটি নিষ্ক্রিয় করা পর্যন্ত কিছু এসওপি মেনে চলতে হয়। কিন্তু এই যন্ত্র কোনও সন্দেহজনক বস্তু বা বোমাকে আলাদা করে রাখবে। বিস্ফোরণ হলেও ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা বিপুল পরিমান হবে না। এই বোমা নিরোধক যন্ত্র উচ্চ ক্ষমতার বিস্ফোরকের ক্ষেত্রে বেশ উপযুক্ত। সহজেই বোমা নিষ্ক্রিয় করা যায়। সেক্ষেত্রে মানুষের জীবনের ঝুঁকি অনেকাংশেই কমে যায়। কলকাতা পুলিশ শহরের বিভিন্ন প্রান্তে সন্দেহজনক কিছু পড়ে আছে খবর পেলেই বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডকে সেখানে পাঠায়। এবার থেকে সেটা নিষ্ক্রিয় করতে সময় লাগবে বুঝলে তখন ‘বম্ব ইনহিবিটর’ ব্যবহার করে বোমাটি নিষ্ক্রিয় করা যাবে। শুধু তাই নয় যদি এই কাজ করতে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটে তাহলেও স্প্লিন্টার ছিটকে বেরোতে পারবে না। বিস্ফোরণের পর তৈরী হওয়া উত্তাপও রোধ করবে এই ‘বম্ব ইনহিবিটর’।