কৃষি দফতরের পোর্টালে আবেদন নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু, ৭৫ হাজার কৃষককে আধুনিক সরঞ্জামে বরাদ্দ ২৫০ কোটি টাকা

বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রগুলির কৃষিব্যবস্থা এখন অনেকাংশেই যন্ত্র-নির্ভর। ভারতের মতো উন্নয়নশীল রাষ্ট্রেও কৃষির ক্ষেত্রে যন্ত্রের বহুল ব্যবহার শুরু হয়ে গিয়েছে।

Must read

প্রতিবেদন : রাজ্য সরকার চলতি বছরে মোট ৭৫ হাজার কৃষককে আধুনিক কৃষি সরঞ্জাম কিনতে সাহায্য করবে। এজন্য খরচ হবে ২৫০ কোটি টাকা। কৃষকদের সাহায্য দানের এই প্রক্রিয়ায় এবার সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা বজায় রাখতে অনলাইনে লটারির মাধ্যমে প্রাপকদের বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কৃষি দফতর জানিয়েছে, এবছর থেকেই কৃষির যান্ত্রিকীকরণের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রকল্প বা এফএফএসএম-এর অধীনে কৃষকদের যন্ত্রপাতি কিনে দেওয়ার ক্ষেত্রে অনলাইন আবেদনের পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। গত ২০ অগাস্ট থেকে কৃষি দফতরের পোর্টালে আবেদন নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই আবেদন চলবে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। আবেদনকারীদের মধ্যে লটারি করে কৃষি যন্ত্রাংশ দেওয়া হবে। কৃষি দফতরের শীর্ষ আধিকারিকদের নজরদারিতে এই লটারি করা হবে। কৃষি সরঞ্জাম বিলি নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ রুখতেই সামগ্রিক প্রক্রিয়া অনলাইন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও কৃষকবন্ধু প্রকল্পে নাম থাকা কৃষক বা সরকারি কোনও দফতরের স্বীকৃত কৃষক গোষ্ঠী আবেদন করতে পারবেন কৃষিযন্ত্র ভাড়া কেন্দ্র স্থাপনের জন্য। এই প্রকল্পের মাধ্যমে কোনও কৃষক বা কৃষকগোষ্ঠী পাওয়ার টিলার বা সৌরশক্তি চালিত পাম্প কেনার জন্য আবেদন জানাতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে আগ্রহী কৃষকদের ০.৫ একর নিজস্ব জমি থাকতে হবে। ছোট যন্ত্রাংশের ক্ষেত্রে চাষিরা ৫০ শতাংশ ভর্তুকি পাবেন। চাষিরা পাওয়ার টিলার, ট্রাক্টর ছাড়া ড্রোনের জন্যও আবেদন করতে পারবেন।

আরও পড়ুন-হাওড়ার বাজারে টাস্ক ফোর্সের হানা

বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রগুলির কৃষিব্যবস্থা এখন অনেকাংশেই যন্ত্র-নির্ভর। ভারতের মতো উন্নয়নশীল রাষ্ট্রেও কৃষির ক্ষেত্রে যন্ত্রের বহুল ব্যবহার শুরু হয়ে গিয়েছে। পঞ্জাব, হরিয়ানা এবং দক্ষিণ ভারতে তার বহুল ব্যবহার চোখে পড়ে। সেই সব রাজ্যে ফসলের উৎপাদনও বেড়েছে আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহারের ফলে। মুখ্যমন্ত্রী চান, বাংলার কৃষকরাও এই উন্নয়নের আওতায় আসুক। বাংলাতেও এখন আর জমি চষতে লাঙলের ব্যবহার দেখা যায় না। পরিবর্তে এসেছে ট্রাক্টর। ধান ঝাড়াইয়ের কাজেও ব্যবহার করা হচ্ছে যন্ত্র। এই যন্ত্রের ব্যবহারের সুযোগ যাতে রাজ্যের সব কৃষকই পায়, তার জন্যই প্রতিবছর রাজ্য সরকার একটু একটু করে কৃষকদের এফএসএসএমের অধীনে আনার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সেই সূত্রেই এবছর রাজ্যের ৭৫ হাজার কৃষককে এই সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Latest article