প্রতিবেদন : আরজি কর-কাণ্ডে ডাক্তারি পড়ুয়ার ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার নিয়েছে সিবিআই। কিন্তু তদন্তভার নেওয়ার ১০ দিন পরও সিবিআই কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এই ঘটনায় একমাত্র গ্রেফতার বিহারের সঞ্জয় রাইকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। তাঁকে এদিন শিয়ালদহ আদালতে পেশ করে সিবিআই। এদিন ধৃত সঞ্জয় রাইয়ের ফাঁসির দাবিতে শিয়ালদহ কোর্টের বাইরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করল বাঙালি জাতীয়তাবাদী সংগঠন বাংলা পক্ষ। একইসঙ্গে তাদের দাবি, এই ঘটনায় আরও কেউ যুক্ত থাকলে অবিলম্বে গ্রেফতার করুক সিবিআই। তাদেরও ফাঁসি চায় বাংলা পক্ষ। কিন্তু সিবিআই এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারল না।
এদিন শিয়ালদহ আদালতের বাইরে জমায়েত করেন বাংলা পক্ষর সদস্যরা। তাঁরা দাবি তোলেন, বহিরাগত সঞ্জয় রাইয়ের ফাঁসি চাই। এদিনের জমায়েতে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায়, সম্পাদক কৌশিক মাইতি, শীর্ষ পরিষদ সদস্য অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়, সাহীন-সহ শতাধিক সদস্য। গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমরা আমাদের বোনের ধর্ষণ ও হত্যার বিচার চাই। অপরাধীকে সঞ্জয় রায় বলে চালানোর চেষ্টা করেছে নানা মহল, বাংলা পক্ষ তাদের ধিক্কার জানায়। ক্রিমিনালের নাম সঞ্জয় রাই। সে একজন বহিরাগত, বিহার থেকে আসা। তার ফাঁসি চাই। তার এমন শাস্তি চাই, আগামিদিনে যেন কোনও বহিরাগত বাঙালি বোনের দিকে লালসার দৃষ্টিতে তাকানোর সাহস না পায়। আমাদের বোনের মর্মান্তিক পরিণতি হয়েছে। বাঙালির বুকে আগুন জ্বলছে। কাউকে আড়াল করা চলবে না। কৌশিক মাইতি বলেন, অনেক মহল থেকে সঞ্জয় রাইয়ের বহিরাগত পরিচয় লুকানোর চেষ্টা হচ্ছে। অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় বলেন, সিবিআই অপদার্থ। তাই সঞ্জয় রাই ভিন্ন কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। বাঙালি বোন ধর্ষিতা ও খুন হয়েছে। তার বিচার চাই।