প্রতিবেদন : আরজি কর-কাণ্ডে (R G Kar) ১১ দিনে পড়ল সিবিআই তদন্ত। কিন্তু এখনও তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুন নিয়ে অথৈ জলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা এজেন্সি। রাজ্য প্রশাসনের তরফে সবরকম সহায়তার পর ১১ দিনেও সিবিআই তদন্তে নেই কোনও অগ্রগতির খবর। সিবিআইয়ের এই ধীরগতির তদন্তে ক্রমশ আস্থা হারাচ্ছেন নির্যাতিতার বাবা-মা। হতাশ আরজি করের আন্দোলনরত চিকিৎসকেরাও। তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে যাওয়ার পরই দ্রুত রহস্যের কিনারা হওয়ার আশা করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু ১১ দিন কেটে যাওয়ার পরও সিবিআই কোনওরমক অকাট্য প্রমাণ না দেখাতে পারায় ক্রমশ ভেঙে যাচ্ছে ধৈর্যের বাঁধ। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে তদন্তের স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিয়েছে সিবিআই। কিন্তু সেই রিপোর্টেও তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে কোনও আশার আলো দেখাতে পারেননি সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। আবার শুক্রবারও ধৃত সঞ্জয় রাইকে শিয়ালদহ আদালতে পেশ করার সময় সিবিআইয়ের তরফে তদন্ত নিয়ে কোনও উল্লেখযোগ্য সূত্র জানানো হয়নি। এই নিয়ে প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ বলেন, আরজি করের ঘটনায় একা সঞ্জয়ই অপরাধী? নাকি আরও কেউ জড়িত আছে? সেটা তো সিবিআইয়ের খোলসা করে বলার দায়িত্ব। এতদিনে সিবিআইয়ের তো সবকিছু সলভ করে ফেলা উচিত। সিবিআই তদন্ত ঝুলিয়ে রাখছে বলেই চারদিকে এমন অরাজকতা তৈরির সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে সিপিএম ও বিজেপি। ঘটনার ১২ ঘণ্টার মধ্যে কলকাতা পুলিশের হাতে একমাত্র ধৃত সঞ্জয় রাইকে শুক্রবার জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে শিয়ালদহ আদালত। একইসঙ্গে আরজি করে (R G Kar) আর্থিক অনিয়মের তদন্তভারও সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশ মতো শনিবার সকালেই আরজি করের আর্থিক অনিয়ম সংক্রান্ত যাবতীয় নথিপত্র সিবিআইকে দিয়েছে কলকাতা পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল। পাশাপাশি টানা ৯ দিন সিবিআই জেরার মুখোমুখি আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। এদিকে সন্দীপ, সঞ্জয়-সহ মোট ৬ জনের পলিগ্রাফ টেস্টের অনুমতি মিলেছে আদালতের তরফে। তারপরই এদিন সকাল থেকে সিজিও কমপ্লেক্সে সেই পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন- কণ্ঠরোধ নয়, স্কুলের সময়ে পড়ুয়াদের নিয়ে মিছিলে আপত্তি