সমন্বয়ের অভাব বাড়ছে, বৈঠক ডাকল কেন্দ্র

তার উপর একাধিক ইস্যুতে ভিন্ন সুর জোট শরিকদের। শরিকি দ্বন্দ্বে জেরবার হয়েই কি পতন হবে তৃতীয় মোদি সরকারের, আশঙ্কা কেন্দ্রের অন্দরেই।

Must read

প্রতিবেদন: একে বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। তার উপর একাধিক ইস্যুতে ভিন্ন সুর জোট শরিকদের। শরিকি দ্বন্দ্বে জেরবার হয়েই কি পতন হবে তৃতীয় মোদি সরকারের, আশঙ্কা কেন্দ্রের অন্দরেই। এই সরকার অস্থায়ী, আগেই বলেছেন ইন্ডিয়া জোটের নেতারা। শরিকি দ্বন্দ্বের ছবিও স্পষ্ট হচ্ছে নয়াদিল্লির রাজনৈতিক মহলে৷ কীভাবে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করা হবে, তার সূত্র খুঁজতে এবার বৈঠক ডাকল কেন্দ্র।
তৃতীয় মোদি সরকারের বয়েস সবে মাত্র আড়াই মাস৷ এর মধ্যেই প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়েছে চিরাগ পাসোয়ানের মত প্রভাবশালী কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ভূমিকা৷ প্রথমে ওয়াকফ সংশোধনী বিল, পরে ইউপিএসসিতে ল্যাটারাল এন্ট্রি-এই দুই গুরুত্বপূর্ণ সরকারি সিদ্ধান্তের বিপরীতে গিয়ে যেভাবে সোচ্চার হয়েছেন চিরাগ পাসোয়ান, তা রীতিমতো অপ্রস্তুত করেছে কেন্দ্রীয় সরকারের শীর্ষ স্তরকে৷ সরকার গঠনের আড়াই মাসের মাথায় এই ভাবে কেন বেসুরো হচ্ছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা, ভেবে কূলকিনারা পাচ্ছেন না বিজেপির প্রভাবশালী নেতারাও৷ এই ঘটনার পরেই রাতারাতি ড্যামেজ কন্ট্রোলের সিদ্ধান্ত নিয়ে আগামী ২৮ অক্টোবর কাউন্সিল অফ মিনিস্টর্স বৈঠক ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি নিজে৷ পিএমও সূত্রের দাবি, তৃতীয় মোদি সরকারের প্রথম কাউন্সিল অফ মিনিস্টর্স বৈঠকেই মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবের বিষয়টি তুলে ধরবেন প্রধানমন্ত্রী৷ সরাসরি তোপ দাগা হতে পারে খাদ্য ও প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসোয়ানকে লক্ষ্য করেও৷ প্রত্যেককে একই সুরে কথা বলতে হবে, নিজের মন্ত্রিসভার সব সদস্যকে নির্দেশও দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী, দাবি সূত্রের৷

আরও পড়ুন-গভীর নিম্নচাপের জের ব্যাপক বৃষ্টি কলকাতায়

এর পাশাপাশি তৃতীয় মোদি মন্ত্রিসভায় শরিক দলের প্রতিনিধি অন্য তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন রাম মাঝি (ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পমন্ত্রী), ললন সিং (পঞ্চায়েতিরাজ মন্ত্রী) এবং এইচ ডি কুমারস্বামীর (ভারী শিল্পমন্ত্রী) ভূমিকা নিয়েও সরকার ও বিজেপির অন্দরে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আড়াই মাস সময় পেলেও এই তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এখনও তাদের নিজেদের দফতর ভালভাবে সামাল দিতে পারছেন বা বলে অভিযোগ উঠছে৷ সেইসঙ্গে শরিক দলের মন্ত্রী চিরাগ পাসোয়ান কেন্দ্রীয় সরকারের দায়িত্বশীল মন্ত্রী হওয়ার পরেও যেভাবে সরকারি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন, তার পরে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও উঠছে। ফলে এবারের কাউন্সিল অফ মিনিস্টার্স বৈঠকে কড়া মনোভাব পোষণ করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী, দাবি সরকারি সূত্রের৷

Latest article