সৌমালি বন্দ্যোপাধ্যায় : বালি পুরসভার ( Bally Municipality) প্রশাসক হলেন হাওড়া সদরের এসডিও তরুণ ভট্টাচার্য। তিনি সদরের মহকুমাশাসক হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি বালি পুরসভার (Bally Municipality) প্রশাসকের দায়িত্বভারও সামলাবেন। প্রশাসক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণের পরই এলাকার পুর পরিষেবার মান কীভাবে আরও বাড়ানো যেতে পারে তা নিয়ে তিনি স্থানীয় বিধায়ক ডাঃ রানা চট্টোপাধ্যায়ের (Rana Chattopadhyay) সঙ্গে কথা বলেছেন। বিধায়ক তাঁকে বেশকিছু সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিয়েছেন। তাঁর মধ্যে রয়েছে প্রতিটি এলাকায় নিয়মিত জঞ্জাল সাফাই, নিকাশি ব্যবস্থা ঠিকঠাক রাখা, রাস্তাঘাট পরিচ্ছন্ন রাখতে নিয়মিত সাফাই কাজ চালু রাখা, সমস্ত স্ট্রিট লাইটগুলি যেন ঠিক থাকে, কোনও এলাকা যেন সন্ধের পর অন্ধকারচ্ছন্ন না থাকে তা নিশ্চিত করা, এলাকায় মশা মারার তেল স্প্রে করা, ব্লিচিং পাউডার ছড়ানো প্রভৃতি যেন ঠিকঠাক হয় তা দেখভাল করা। এই ব্যাপারে পুরসভার কর্মীদের পাশাপাশি এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলরদের সবসময় সজাগ দৃষ্টি রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন বিধায়ক। সেইসঙ্গে ওয়ার্ড কমিটিগুলিকেও আরও সক্রিয় করে তুলতেও উদ্যোগী হয়েছেন বিধায়ক। ডাঃ রানা চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘হাওড়ায় প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে আমাদের উৎসাহিত করেছেন তাতে কাজ করার আরও বেশি অনুপ্রেরণা পেয়েছি আমরা। মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শে আমরা সবাই একসঙ্গে বালির নাগরিক পরিষেবার মান আরও উন্নত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাব।’
আরও পড়ুন-দক্ষিণবঙ্গে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা
বালির নবনিযুক্ত প্রশাসক তরুণ ভট্টাচার্য জানান, ‘ট্রেড লাইসেন্স সহ নান পরিষেবা পেতে বালির বাসিন্দাদের এতদিন হাওড়া কর্পোরেশনের মূল কার্যালয়ে যেতে হত। এখন থেকে সেই সমস্ত পরিষেবা বালিতেই পাওয়া যাবে। আর হাওড়ায় ছুটতে হবে না। বালিতে হাওড়া কর্পোরেশনের যে সাব-অফিসটি ছিল সেখান থেকেই এখন থেকে বালি পুরসভার সব দফতরই পরিচালিত হবে।’ তিনি আরও জানান, ‘স্থানীয় বিধায়কের সঙ্গে আলোচনা করে এলাকার পুর পরিষেবার মান আরও বাড়ানোর চেষ্টা করব।’