প্রতিবেদন : রোগী-পরিষেবা উপেক্ষা করে তিন সপ্তাহ ধরে চলছে জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি (strike)। এতেই চরম নাজেহাল অবস্থা রোগীর পরিবারের। সামর্থ্য না থাকলেও রোগীদের বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে একপ্রকার বাধ্য হচ্ছেন স্বজনেরা। দেখা গিয়েছে, গত এক সপ্তাহ ধরে বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলোতে বহির্বিভাগে রোগী দেখানোর চাপ বেড়েছে। ভর্তির ক্ষেত্রে বৃদ্ধি পেয়েছে রোগীর সংখ্যা। বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা ১০ শতাংশ থেকে প্রায় ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন-আবার মহারাষ্ট্র, এবার দুই কিশোরী ছাত্রী গণধর্ষিতা
এঁদের মধ্যে বেশির ভাগই বাংলাদেশি। আন্দোলনের জেরে হাসপাতালের চিকিৎসকরা মুমূর্ষু রোগীদেরও ফিরিয়ে দিচ্ছেন। তবে রোগীর আত্মীয়-পরিজনেরা এভাবে দিনের পর দিন রাতের বেলা আন্দোলনকে সমর্থন করছেন না। তাঁদের বক্তব্য, লোকজন ঠান্ডাঘরে চাকরিবাকরি সেরে রাত হলে মোমবাতি হাতে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ছে। এই একাংশের বড়লোকদের জন্য আমাদের মতো গরিব মানুষকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। আসলে সবকিছুতেই রাজনীতি ঢুকে পড়েছে। এসএসকেএম হাসপাতালে এদিনও ভোগান্তির চিত্র ধরা পড়েছে। যদিও এক্ষেত্রেও অনেকটাই ভরসার জায়গা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। এই কার্ডেই বেসরকারি হাসপাতালে যাচ্ছেন অনেকে। সেক্ষেত্রে অনেকটাই সুবিধে পাচ্ছেন তাঁরা। তবে রোগীর পরিবারদের প্রশ্ন একটাই— চিকিত্সকেরাই রোগীদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলে কীভাবে বাঁচব?