প্রতিবেদন : ন্যায়বিচারের দাবি থেকে সরে এসে এখন চেয়ার নিয়ে শকুনের রাজনীতি শুরু করেছে বিজেপি। আর এই কাজে তাদের দোসর হয়েছে সিপিএম। এর আগে ন্যায়বিচারের দাবিতে রাজপথ দখলে নেমেছিল বিরোধীরা। সিপিএম-বিজেপি-সহ বিরোধীরা এখন সেই দাবি থেকে পিছু হটেছে। তাদের পাখির চোখ এখন চেয়ারের রাজনীতি। ২৭ অগাস্ট বিরোধীদের সেই শকুনে-রাজনীতিতে নামার আগে গর্জে উঠল তৃণমূল। তৃণমূলের স্পষ্ট কথা, সবাই বুঝে গিয়েছে— পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজের নামে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়ে বিজেপি রাজ্যে অরাজকতা তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন-নতুন ছুতোয় কর্মবিরতি তৃতীয় সপ্তাহে, রোগী পরিষেবা উপেক্ষা ডাক্তারদের
কলকাতার গ্যালিফ স্ট্রিটে পোষ্যদের ওয়েবসাইট উদ্বোধন ও নিউ টাউনের হোটেলে ডিজিটাল প্রচারকর্মীদের সভা থেকে বিরোধীদের শকুনের রাজনীতিকে একহাত নেন রাজ্যসভার প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ। তিনি সোশ্যাল মিডিয়াতেও গর্জে ওঠেন এই বিষয়ে। তিনি লেখেন, দাবি ছিল বিচারের। আর দাবি এখন চেয়ারের। তাঁর কথায়, অরাজনৈতিক সংগঠন বলে যাঁরা নবান্ন অভিযানে নামছেন, তাঁরা মিথ্যা বলছেন। আমরা ধরে ধরে তা প্রমাণ করে দিয়েছি। প্রত্যেকের ছবি ও পরিচয় আমাদের নেতারা প্রকাশ করে দিয়েছেন। নবান্ন অভিযানের আহ্বায়করা আসলে বিজেপির নানা শাখা সংগঠনের সদস্য। অর্থাৎ বিজেপিই প্রোমোট করছে এই নবান্ন অভিযান। সিপিএম ও কংগ্রেসের একাংশও তাদের সাহায্য করেছে। এখন প্রশ্ন কোন যুক্তিতে তারা চেয়ার নিয়ে শকুনের রাজনীতি করতে নামছেন? যেখানে সুপ্রিম কোর্টের মনিটরিংয়ে তদন্ত করছে সিবিআই, সেখানে রাজ্যের সরকারের বিরুদ্ধে অভিযান হচ্ছে নবান্নে। সবার কাছে সুস্পষ্ট, অরাজকতা তৈরিই আসল উদ্দেশ্য বিরোধীদের।
তৃণমূলের সাফ কথা, আমরা আরজি করের ডাক্তারি পড়ুয়ার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় বিচার চাই অবিলম্বে। কলকাতা পুলিশ ১২ ঘণ্টার মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু তদন্ত পুলিশের হাতে না রেখে সিবিআইয়ের হাতে চলে গিয়েছে। সেই সিবিআই ১২ দিনে ডাক্তারি পড়ুয়া ধর্ষণ ও খুনের তদন্তে কোনও অগ্রগতি ঘটাতে পারেনি। কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। অবিলম্বে তদন্ত করে কে দোষী, কে অপরাধী, তা চিহ্নিত করুক। কুণাল ঘোষের সাফ কথা, এখন বলছে— দাবি এক, দফা এক। বলছে ইস্তফা চাই। কিন্তু বানতলা ধানতলা, আমতলার ঘটনার পর কোন সিপিএমের মুখ্যমন্ত্রী ইস্তফা দিয়েছেন? বিলকিস, উন্নাও, হাথরস, সম্প্রতি মহারাষ্ট্র, অসম, গুজরাট, ছত্তিশগড়ের ঘটনার পর কোন বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী ইস্তফা দিয়েছেন? তাহলে এখন কেন মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফা দাবি! আসলে এসব গন্ডগোল তৈরির চেষ্টা। সেজন্য বাড়তি পুলিশের পোশাক তৈরি করা হয়েছে। ট্রেনে-বাসে করে বাইরের লোক ঢুকেছে। যে কোনও মূল্যে বিরোধীরা বাংলায় অরাজকতা তৈরির চেষ্টা চালচ্ছে ২৭ তারিখ। বিজেপি-সিপিএমের এই শকুনের রাজনীতি আজ মানুষের কাছে স্পষ্ট। কেউ তাদের সমর্থন করবেন না।